তাও এমন সময়ে, যখন তার পুত্র ট্রাম্প জুনিয়রের সঙ্গে ক্রেমলিন-ঘনিষ্ঠ রুশ আইনজীবীর বৈঠক, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকে ফোনালাপে ধমকানোর রেকর্ডিং ফাঁস, প্রেসসচিব, গণমাধ্যম বিষয়ক প্রধানসহ শীর্ষ পদে রদবদল মিলিয়ে নানা ইস্যুতে টালমাটাল হোয়াইট হাউস।
নিউজার্সির বেডমিনস্টারে নিজের মালিকানাধীন গলফ রিসোর্টে অবকাশ যাপনে প্রেসিডেন্টের ছুটির কারণ ব্যাখ্যা করে হোয়াইট হাউস বলেছে, বেডমিনস্টারে কর্মবিরতি পালন করছেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র লিনডসে ওয়ালটারস বলেন, আগামী দুই সপ্তাহ পর প্রেসিডেন্ট আবার তার অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু করবেন।
দেশটিতে প্রেসিডেন্টদের অবকাশযাপন নতুন কিছু নয়। তবে প্রশাসনের বেহাল অবস্থায় ট্রাম্পের এ অবকাশ আলোচনায় এসেছে। কারণ শপথ নেওয়ার সাত মাস পেরোলেও বড় ধরনের কোনো অর্জন দেখাতে পারেননি ধনকুবের প্রেসিডেন্ট। কাজ বলতে হয়েছে, বিভিন্ন ইস্যুতে নিজের রিপাবলিকান সদস্যদের ওপর ক্ষমতা দেখানো।
অথচ সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অবকাশ যাপনের কড়া সমালোচনা করতেন ট্রাম্প। ২০১১ সালে ওবামার গলফ খেলায় অংশগ্রহণ ও পরে আটলান্টিকের মারথাসের ভিনইয়ার্ড দ্বীপে ১০ দিনের ছুটিতে যাওয়া প্রসঙ্গে এক টুইটে ট্রাম্প লিখেন, ‘ভালো দায়িত্ব পালনের নমুনা!’
পরের বছরই ২০১২ সালে ওবামার ছুটি নেওয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ছুটির যুক্তিটা কী? যদি কেউ কাজ করে মজা না পায়, তাহলে সে ভুল কাজ করছে!’
কেবল সাবেকদের সমালোচনাই নয়, ট্রাম্প নির্বাচনে অংশগ্রহণের মনস্থির করার পর থেকেই সমর্থকদের বলতেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে কোনো ছুটি নেবো না, বরং কাজ নিয়েই পড়ে থাকবো। ’
নির্বাচনের আগের বছর ২০১৫ সালেই এক ভাষণে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি এমন প্রেসিডেন্ট হতে চাই না, যে কি-না ছুটি নেবে। ’
কিন্তু দায়িত্ব পালনের প্রথম সাত মাসের হিসাবে যে ওবামার চাইতেই বেশি ছুটি নিয়ে বসলেন ট্রাম্প!
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৭
জিওয়াই/এইচএ/