গণতন্ত্রের এ সাফল্যে শুধু ভারতই নয়, পুরো বিশ্বের সুষ্ঠু রাজনীতি চর্চাকারীদেরই আনন্দে উদ্বেলিত করেছে। গণতন্ত্রের সাফল্যের সবশেষ সাক্ষী হাস্যোজ্জ্বল ও সুবক্তা নাইডু সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক ১০ তথ্য।
১. পশ্চিমবঙ্গের সাবেক রাজ্যপাল ও বিরোধী প্রার্থী গোপালকৃষ্ণ গান্ধীকে হারিয়ে উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন নাইডু। ভোটের লড়াইয়ে নাইডু ৫১৬ এবং গোপালকৃষ্ণ ২৪৪ ভোট পেয়েছেন।
২. অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে ভেঙ্কাইয়া নাইডু উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়া সারভেপেল্লাই রাধাকিশানন এবং ভিভি গিরি উভয়েই পরে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
৩. তিনবার কর্নাটক এবং একবার রাজস্থান রাজ্য থেকে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন নাইডু।
৪. ২০০২ সালের জুলাই মাস থেকে ২০০৪ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ভেঙ্কাইয়া নাইডু বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে দলের পরাজয়ের পর তিনি সভাপতির পদ ছেড়ে দেন।
৫. অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের আমলে তিনি স্থানীয় সরকার উন্নয়ন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
৬. ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার গড়লে নাইডু তার তথ্য, সম্প্রচার এবং নগর উন্নয়ন বিষয়ক সংসদীয় কমিটির দায়িত্ব পালন করেন।
৭. নগর পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালনকালে ‘স্মার্ট সিটি মিশন’, ‘অটল মিশন’, ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’, ‘সবার জন্য বাড়ি’ প্রকল্প চালু করেন নাইডু।
৮. অন্ধ্রপ্রদেশের নেলোর জেলায় কৃষি পরিবারে জন্ম নেওয়া নাইডু ১৯৭৩ সালে ছাত্র নেতা হিসেবে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সূচনা করেন। পরে তিনি জনসংঘে যোগ দেন।
৯. তিনি দুইবার অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন।
১০. দক্ষিণাঞ্চলে জন্ম নিলেও নাইডু হিন্দি ভাষায় কথা বলতে পারেন। উত্তর ভারতের অনেক জনসভায় তিনি হিন্দিতে বক্তব্য রাখেন। হিন্দিকে জাতীয় ভাষা করারও প্রস্তাবক নাইডু।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৭
জিওয়াই/এইচএ/