স্থানীয় সময় রোববার (৬ আগস্ট) ইসরায়েলের যোগাযোগ মন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের এই অবস্থান জানান। তবে ঠিক কবে নাগাদ এটির সম্প্রচার বন্ধের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একাধিক অনুষ্ঠানে আল জাজিরাকে উস্কানিদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করেন। তার দাবি, আল জাজিরা ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করে আসছে।
আইয়ুব কারা জানান, সরকারের সংবাদ বিভাগকে আল জাজিরার কার্যক্রমের অনুমোদনপত্রসহ যাবতীয় নথি ফেরত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে স্থানীয় ক্যাবল ও স্যাটেলাইট অপারেটরদের আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
১৪ জুলাই জেরুসালেমের আল আকসা মসজিদে সংঘাতে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুলে সম্প্রতি নেতানিয়াহু বলেন, আল জাজিরা সন্ত্রাসে সমর্থন দেয়, যার ফলে আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারাতে (প্রাণহানি) হয়।
আল জাজিরা বন্ধের ইঙ্গিত পেয়েই গতমাসে সংবাদমাধ্যমটি বলেছিল, এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলে তারা আইনের আশ্রয় নেবে।
সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগ গত জুনের প্রথম সপ্তাহে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিশর, ওমান, ইয়েমেনসহ আরব-উপসাগরীয় দেশগুলো। এরই জের ধরে সৌদি আরব এবং জর্ডান আল জাজিরা বন্ধ করে দিয়েছে। বন্ধ করে দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতও। অবশ্য মিশরে বছরকয়েক আগে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৭
এইচএ/