পিয়ংইয়ংয়ের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ সোমবার (৭ আগস্ট) এই হুঁশিয়ারির খবর দিয়েছে। গত শনিবার (৫ আগস্ট) উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি ইস্যু প্রতিহত করতে দেশটির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওই নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব পাস হয়।
প্রস্তাবের আওতায় খাদ্য, কয়লাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম আমদানি, উত্তর কোরিয়ানদের নতুন করে কোনো দেশে কর্মী হিসেবে নিয়োগ, তাদের কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো দেশের প্রতিষ্ঠানের নতুন করে যৌথ উদ্যোগ চালুর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এছাড়া আরও বেশ ক’জন উত্তর কোরিয়ান কর্মকর্তাকেও বহির্বিশ্ব ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞায় ফেলা হয়।
এই প্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে উত্তর কোরিয়া বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞা স্পষ্টতই আমাদের সার্বভৌমত্বের সহিংস লঙ্ঘন।
যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে পিয়ংইয়ংয়ের মুখপাত্র স্পষ্ট করে বলেন, সমঝোতার টেবিলে আমাদের আত্ম-প্রতিরক্ষার পারমাণবিক শক্তিকে সামনে না ঠেলে দেওয়াই ভালো।
এই নিষেধাজ্ঞা আরোপকে ‘অপরাধের’ সঙ্গে তুলনা করে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রকে এজন্য চরম মূল্য দিতে হবে। হাজারগুন মূল্য।
আর যত বাধাই আসুক, উত্তর কোরিয়া তার পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাবেই বলে সাফ জানিয়ে দেন পিয়ংইয়ংয়ের ওই মুখপাত্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৭
এইচএ/