ক্রিসলের মেয়ে শুলা কপারস্টওক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার অসুস্থ হয়ে পড়ার পর শুক্রবার বিকালে মারা যান তার বাবা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আউশভিতস বন্দি শিবির থেকে বেঁচে যাওয়া এই ব্যক্তিকে ২০১৬ সালের মার্চ মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে গিনিস বুকে প্রবীনতম মানুষ হিসেবে স্বীকৃত দেয়া হয়।
তিনি ১৯০৩ সালে ওয়ার্সা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে ৯০ মাইল ভেতরে ক্রিসল জারনো গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি বাবা-মাকে হারান। এরপর তিনি লোডজে চলে যান। ১৯৩৯ সালে নাজি জার্মানির পোল্যান্ড আক্রমণের পর স্ত্রী ক্রিসলাল ও তার পরিবারের সবাইকে লোডজ গেটোতে নিয়ে যান। সেখানে তার দুই সন্তানের মৃত্যু হয়। ১৯৪৪ সালে আউশাভিয়তসে স্ত্রী চ্যাজা ফিগে ফ্র্যাচ খুন হলেও তিনি প্রানে বেঁচে যান।
এরপর ১৯৪৫ সালের ১ মে মাসে তিনি তার বন্ধুদের ফিরে পান। তখন তার ওজন ছিলো ৩৭ কেজি। এরপর ১৯৫০ সালে দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার দুই ছেলেকে নিয়ে ইসরায়েল চলে আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
এমএফআই/এসআই