বহুল আলোচিত এ ‘ছক’ হাতে পেয়ে কিম জং-উন অনেকক্ষণ আলোচনা করেন এবং সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করেন। তবে এটি বাস্তবায়ন করার আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করবেন এবং কিছু পিয়ংইয়ংয়ের জন্য বিপজ্জনক মনে হলেই যাবেন পরবর্তী ভাবনায়।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দিয়েছে এ খবর। ওয়াশিংটনের সঙ্গে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহেই দেশটি বলছিল, তারা পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি গুয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিকল্পনা বা ছক আঁকছে।
কেসিএনএ’র খবরে বলা হয়, পরিকল্পনাটি প্রেসিডেন্টের হাতে হস্তান্তরের পর উত্তর কোরিয়ার কৌশলগত বাহিনীর কমান্ডার অপেক্ষায় রয়েছেন, কখন গুয়ামের চতুর্দিক থেকে হামলার নির্দেশ দেওয়া হয় তাকে।
যদিও পরিকল্পনা হাতে পেয়ে কিম জং-উন বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা প্রশমিত করতে হলে এবং ভয়ানক সামরিক সংঘাত এড়াতে হলে আমাদের পাশ ঘেঁষে অনেক কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র জড়ো করা যুক্তরাষ্ট্রকেই প্রথমে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে এবং এই সিদ্ধান্তের কার্যকর বাস্তবায়ন দেখাতে হবে।
তবে কিম জং-উন সামরিক বাহিনীকে বলে দিয়েছেন, তার নির্দেশ পাওয়া মাত্র ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে।
উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে ওয়াশিংটন-পিয়ংইয়ং বাকযুদ্ধ চলছে। সবশেষ পিয়ংইয়ংয়ের ওপর পশ্চিমাদের কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপের জবাবে উত্তর কোরিয়া গুয়ামে হামলা চালানোর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে বলে হুঁশিয়ারি দিলে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই ধরনের কোনো উচ্চাভিলাস করে থাকলে সেজন্য পিয়ংইয়ংকে ভীষণ পস্তাতে হবে।
এই ‘পস্তানোর’ হুঁশিয়ারির মধ্যেই পিয়ংইয়ংয়ের তরফ থেকে জানানো হলো, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালাতে ‘ছক’ তৈরি করে ফেলেছে। এখন এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্র কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেদিকেই নজর রাখছে বিশ্ব সংবাদমাধ্যম।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
এইচএ