দোহার ওপর রিয়াদের নেতৃত্বে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর অবরোধ ঘিরে স্নায়ুযুদ্ধের মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) আকস্মিক এই ঘোষণা দিয়েছেন বাদশাহ সালমান। অবরোধের ফলে কাতারিরা হজ করতে পারবেন কি পারবেন না, এমন উদ্বেগের মধ্যে বাদশাহর এই ঘোষণা উপসাগরের স্নায়ুযুদ্ধে নতুন মোড় তৈরি করেছে।
বাদশাহর আদেশ অনুযায়ী সৌদির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, হজ গমনেচ্ছু কাতারি নাগরিকদের জন্য সীমান্তের পারস্য উপসাগর তীরবর্তী সালওয়া বন্দর খুলে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদের ই-অনুমতিপত্র লাগলেও কাতারিদের লাগবে না তাও।
বিবৃতিতে জানানো হয়, সৌদি বাদশাহ কাতারের মুসল্লিদের তার নিজ খরচে হজ পালনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সীমান্ত ছাড়া যারা আকাশপথে আসতে চান, তাদের আনার জন্য বাদশাহ দোহায় সৌদি এয়ারলাইন্সের বিশেষ প্লেন পাঠানোরও নির্দেশ দিয়েছেন।
দোহার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদদের অভিযোগ তুলে গত ৫ জুন তাদের সঙ্গে কূটনেতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদির নেতৃত্বে মিশর, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, ইয়েমেনসহ আট দেশ। এসব অভিযোগ কাতার অস্বীকার করে এলেও সম্পর্ক ছিন্ন করার অংশ হিসেবে সালওয়া সীমান্তসহ দোহার সঙ্গে সবরকমের যোগাযোগপথও বন্ধ করে দেয় সৌদি।
এই প্রেক্ষাপটে হজ মৌসুম আসার পর কাতারি নাগরিকদের পবিত্র মক্কা-মদিনা গমন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তবে বাদশাহর নতুন এই আদেশের ফলে তাদের সামনে আর কোনো বাধা দেখছেন না বিশ্লেষকরা।
সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, সীমান্ত দিয়ে সৌদি গমনের পাশাপাশি কাতারিরা এখন নির্ধারিত জেদ্দার বাদশাহ ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ইহসা বিমানবন্দরে অবতরণ করে হজের জন্য মক্কায় যেতে পারবেন।
বাদশাহর এই আদেশের বিষয়ে কাতারের আমির পরিবার বা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো বক্তব্য মেলেনি।
গত মাসেই সৌদি আরব জানিয়েছিল, যেসব কাতারি হজ করতে চান, তারা সৌদি আরবে আকাশপথে ঢুকতে হলে রিয়াদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ এয়ারলাইন্স হয়ে আসতে হবে। দোহার সরকারের এয়ারলাইন্স ‘কাতার এয়ারওয়েজ’ এই চুক্তিবদ্ধ ছিল না বিধায় অনিশ্চয়তার অন্ধকারেই ছিলেন কাতারিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
এইচএ/