বুধবার (২৩ আগস্ট) জাতিসংঘের বর্ণ-বৈষম্য নিরসন বিষয়ক কমিটির (সিইআরডি) দেওয়া এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। ‘প্রাথমিক সতর্কতা ও অবিলম্বে পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানাতে গুরুতর পরিস্থিতি বিবেচনা ছাড়া এ ধরনের বিবৃতি জারি বিরল।
সম্প্রতি ভার্জিনিয়ার শার্লটসভিলেতে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের মিছিল থেকে তাদের বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা ও হতাহতের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া বিবৃতি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। বিবৃতিতে ট্রাম্প বর্ণবাদী শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট কিছু না বলে দাবি করেন, ‘এটা বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে ঘটনা’।
ওই সংঘাতের বিষয়ে সিইআরডির বিবৃতিতে বলা হয়, বর্ণবাদী বিক্ষোভ নাকচ করতে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণেই এই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের ব্যর্থতা যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদী বক্তব্যের বিস্তার ঘটাতে পারে এবং সহিংসতারও ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে।
বিবৃতিতে সিইআরডির চেয়ার অ্যানাস্তাসিয়া ক্রিকলে বলেন, এ ধরনের বর্ণবাদী বিক্ষোভে আমরা আতঙ্কিত। শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী, নিও-নাজি, ক ক্লুক্স ক্লানের মতো গোষ্ঠীগুলোর বর্ণবাদী বৈষম্য ও হিংসার উস্কানিদাতা স্লোগান, চিৎকার এবং কর্মসূচি সত্যিই আতঙ্কের কারণ।
শার্লটসভিলের ওই সহিংসতায় অভিযুক্তরা যদি দোষী সাব্যস্ত হয়, তবে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত বলেও যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
এইচএ/