শনিবার (২৬ আগস্ট) শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ তথ্য জানা যায়। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অধিকার আদায়ে বিদ্রোহী হয়ে ওঠা একদল রোহিঙ্গা বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ স্টেশন, সীমান্ত ফাঁড়ি ও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানোর পর সরকারি অভিযানে তাদের মৃত্যু হয়েছে। রোহিঙ্গাদের পক্ষে হামলার দায় স্বীকার করেছে, বিদ্রোহী সংগঠন, এআরএসএ।
সরকারি বাহিনীর অভিযানে ইতোমধ্যে হাজারো মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে কক্সবাজারে নাফ নদী তীরে বাংলাদেশ সীমান্তে এসে জড়ো হয়েছেন। এছাড়া অনেকে বাসস্থান ছেড়ে পালাচ্ছেন, আর যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে বেশির ভাগ নারী-শিশু।
রাখাইন রাজ্যে এই সহিংসতা এমন সময় হলো যার ঠিক একদিন আগে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বাধীন একটি তদন্ত কমিশন রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
গত বছর (২০১৬) অক্টোবরে এক পুলিশ চেকপোস্টে অতর্কিত হামলায় নয় পুলিশ নিহতের পর বিদেশি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে অভিযোগ তুলে রাখাইনে ব্যাপক আকারে সেনা অভিযান শুরু হয়। তাতে সেখানে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। বহু মানুষ বাংলাদেশেও পালিয়ে আসেন।
সেসময় রাজ্যে নির্যাতন ও ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দেশটিকে সতর্ক করে জাতিসংঘ।
এর আগে ২০১২ সালে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০০ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
রাখাইন রাজ্যে সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৭১
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৭
আইএ