সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বহুল প্রতীক্ষিত সমঝোতার কথা জানিয়েছে। তারা বলেছে, কূটনৈতিক পর্যায়ের সংলাপের ফল হিসেবে এই সমঝোতায় পৌঁছেছে নয়াদিল্লি ও চীন।
এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ডোকলাম এলাকায় মুখোমুখি অবস্থানরত দু’পক্ষের বাহিনীকে সরিয়ে নেওয়ার সমঝোতা হয়েছে এবং তা এরইমধ্যে কার্যকর হতে শুরু করেছে।
হিমালয়ঘেঁষা ডোকলাম মালভূমি বিভিন্ন সময়ে উত্তেজনার কেন্দ্র ছিল। এই মালভূমিটি ভুটানের বলে নয়াদিল্লি ও থিম্পু মনে করলেও বেইজিং মনে করে চীনের। কয়েকমাস আগেই ডোকলামের পাশ ঘেঁষে চীনা সেনাবাহিনী সড়ক তৈরি করতে গেলে তাতে বাধা দেয় ভারতের সেনারা। এ নিয়ে উত্তেজনায় ভারতের দু’টি বাংকার গুড়িয়ে দেয় চীনারা।
এরপর উত্তেজনা এতোই বাড়ে যে, দু’পক্ষই বাকযুদ্ধে জড়ানোর পাশাপাশি উভয় সীমান্তে ব্যাপক সৈন্য-সামন্ত জড়ো করে। এমনকি ভারত তাদের বিমান বাহিনীতে ‘অপারেশনাল অ্যালার্ট’ বা সর্বোচ্চ প্রস্তুতির বার্তা দেয় বলেও জানা যায়। এই উত্তেজনা-বাকযুদ্ধের মধ্যে সম্প্রতি লাদাখ সীমান্তে পাথর ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে।
এই অবস্থায় নয়াদিল্লি ও বেইজিং ফের সংকট নিরসনে উদ্যোগী হয়। এই উদ্যোগ ফল আনলো ১ সেপ্টেম্বর চীনা সেনা বাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস ও সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলের শহর শিয়ামেনে অনুষ্ঠেয় ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যকার সম্ভাব্য বৈঠককে সামনে রেখে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৭
এইচএ/