মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় নবান্নে পাহাড় নিয়ে বৈঠকের পর এমনটাই জানালেন মমতা। বৈঠককে তিনি ফলপ্রসূ বলেছেন।
বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের প্রতিনিধিদলকে নিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে তিনি জানান, এতো দিনে পাহাড় নিয়ে কথা বলা শুরু হলো। আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। সেটাই শুরু করা গিয়েছে।
গত ৭৮ দিন ধরে পাহাড়ে বন্ধ চলছে। মমতা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ওই প্রতিনিধিদলের কাছে সেই বন্ধ বা ধর্মঘট তোলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে দু’পক্ষই এক মত হয়েছে।
বর্তমানে কীভাবে সেই শান্তির পরিবেশ ফিরবে তা নিয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পাহাড়ের প্রতিনিধিদল গোর্খাল্যান্ডের দাবিও তুলেছেন বৈঠকে। যা নিয়ে রাজ্য সরকার কোনো মন্তব্য করেননি।
মমতা বলেন, গোর্খাল্যান্ডের দাবি থাকতে পারে। গণতন্ত্রে যে কেউ তার মত জানাতে পারেন। কিন্তু সরকারের একটা বাধ্যবাধকতা থাকে।
একই কথা জানিয়েছেন মোর্চার চিফ কোঅর্ডিনেটর বিনয় তামাঙ্গ। বলেন, আমরা শান্তি চাই। পাহাড়বাসীর গোর্খাল্যান্ডের দাবি স্মারকলিপির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে যোগ দিতে আসার আগে মোর্চার ‘নতুন মুখ’ বিনয় তামাঙ্গ শিলিগুড়িতে জানিয়েছিলেন, দিল্লি নয়, পাহাড়কে চেনা ছন্দে ফেরাতে তারা নবান্নের দিকেই এখন তাকিয়ে।
মোর্চা নেতাদের বক্তব্য, আলোচনা করে দ্রুত পাহাড়ের ধর্মঘট তোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দু’পক্ষই পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী। আর এই শান্তির লক্ষ্যেই আগামী ১২ সেপ্টেম্বর উত্তরকন্যায় ফের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। এ দিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী গৌতম দেব, অরূপ বিশ্বাস, পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আরও ছিলেন, রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং মোর্চা এবং জিএনএলএফ নেতারা।
দার্জিলিংয়ে অনির্দিষ্টকালের হরতাল
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৭
আইএ