মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
লকডাউন ভঙ্গের জন্য পদত্যাগপত্র জমা দিলেও চলমান সংকটের মধ্যে তা গ্রহণ করেননি প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডেন।
২৫ মার্চ থেকে সর্বোচ্চ মানের লকডাউনে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু সপ্তাহের শেষে ডুনেডিন শহরে নিজ বাড়ি থেকে পরিবার নিয়ে ডক্টর্স পয়েন্ট সমুদ্র সৈকতে যান ক্লার্ক।
এর আগে গত সপ্তাহে সাইকেল নিয়ে পাহাড়ে বেড়াতে যান তিনি। এ নিয়ে সমালোচিত হওয়ার পর জেসিন্দার কাছে নিজের দোষ স্বীকার করেন তিনি।
এ ঘটনার পর জেসিন্দা বলেন, ‘তাজা বাতাসের জন্য মানুষ বাইরে বের হতে পারে এবং প্রয়োজনে স্বল্প দূরত্বে যেতে পারে। কিন্তু আহত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে, জনগণকে এমন কার্যক্রম এড়িয়ে যেতে বলছি আমরা। মন্ত্রীর উচিৎ ছিল এ নিয়ম মেনে চলা। ’
সমুদ্রে বেড়াতে যাওয়ার বিষয়টি সামনে আসার পর পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন ক্লার্ক। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে শুধু নিয়ম মেনে চলাই নয়, নিউজিল্যান্ডবাসীর কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করাও আমার দায়িত্ব। নিউজিল্যান্ডবাসীকে যখন ঐতিহাসিক আত্মত্যাগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে, তখন আমি আমার দলকে হতাশ করেছি। আমি ইডিয়টের মতো কাজ করেছি এবং বুঝতে পারছি কেন মানুষ আমার ওপর রাগ করে আছে। ’
‘সাধারণ সময় হলে’ ক্লার্ককে বরখাস্ত করা হতো বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা।
এদিকে নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত এক হাজার একশতাধিক করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্ত হলেও মৃত্যু হয়েছে মাত্র একজনের।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২০
এফএম