ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

করোনা: ভ্যাক্সিন তৈরির কোনো নিশ্চয়তা নেই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২০
করোনা: ভ্যাক্সিন তৈরির কোনো নিশ্চয়তা নেই ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে গবেষকরা কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার দূত ডেভিড নাবারো বলছেন, কোভিড-১৯ এর কার্যকর প্রতিষেধক তৈরি হবে, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।

সোমবার (২০ এপ্রিল) রাশিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক এ তথ্য জানায়।

নাবারো বলেন, ‘এমন প্রতিষেধক নেই যা প্রতিটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে নিরাপদ এবং কার্যকর।

কিছু ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করা খুব খুব কঠিন। তাই নিকট ভবিষ্যতে প্রতিনিয়ত বিদ্যমান স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যেই বেঁচে থাকার উপায় আমাদের করতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘মানে হলো, যাদের মধ্যে রোগের লক্ষণ দেখা দেবে এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের আইসোলেট করে রাখতে হবে। বয়স্কদের সুরক্ষা দিতে হবে। এ রোগ মোকাবিলায় হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এটাই আমাদের সবার জন্য নতুন স্বাভাবিকতা হতে যাচ্ছে। ’

এর আগে যুক্তরাজ্যের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেন, ‘স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে। উন্নত দেশগুলোর স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে সাহায্য করতে হবে। ’

নাবারো বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের মতো অল্প কিন্তু গুরুতর যেসব সমস্যা দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া সমাধান করা যায় না, স্বাস্থ্য নিরাপত্তাও তার একটি হতে যাচ্ছে। ’

বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার ৬০টি সম্ভাব্য প্রতিষেধক রয়েছে, যেগুলোর কার্যকারিতা পরীক্ষার চেষ্টা চলছে। এরইমধ্যে ‘চীনকেন্দ্রিক’ হওয়ার অভিযোগে সংস্থাটির বরাদ্দ স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র। ডব্লিউএইচওর সম্পূর্ণ বাজেটের ১৫ শতাংশ আসতো যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে, যা অন্য দেশগুলোর তুলনায় সর্বাধিক। এতে সংস্থাটির কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

তবে নাবারো মনে করেন, চীন প্রথমদিকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি গোপন করার চেষ্টা করেছে এটা সত্যি। কিন্তু ভাইরাসটির উৎপত্তি যদি আফ্রিকায় হতো, তাহলে পরিস্থিতি আরও অনেক বেশি গুরুতর হতে পারতো। তাই এ মুহূর্তে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং সমন্বয় সবচেয়ে জরুরি।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২০
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।