ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

চীনে উইগুর মুসলিমদের জোরপূর্বক খাটানোর অভিযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২১
চীনে উইগুর মুসলিমদের জোরপূর্বক খাটানোর অভিযোগ

মার্কিন প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে বড় কারখানা রয়েছে চীনের উইগুরে। শহরের ঠিক বাইরে একটি শিল্প অঞ্চলে অবস্থিত বিশাল কারখানাগুলোতে কাজ করেন অসংখ্য শ্রমিক।

তবে এই অঞ্চলের শ্রমিকদের জন্য নির্যাতন নিত্যসঙ্গী বলে জানিয়েছে বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন।

তাদের মতে মার্কিন বিভিন্ন কোম্পানি সবচেয়ে বেশি শ্রমিক নির্যাতন করে চীনে। শ্রমিকদের জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করে তৈরি করা হয় পণ্য। এ বিষয়ে সংকট সমাধানে প্রতিষ্ঠানগুলো পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু পর্যবেক্ষণ দুরূহ হওয়ায় তা আর সম্ভব হয় না। তবে এই সংকট সমাধান জরুরী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।  

অঞ্চলটিতে বিভিন্ন বন্দিশালায় আটকে রেখে সংখ্যালঘু মুসলমানদের দিয়ে জোরপূর্বক কাজ করানো হয় বলে চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে অনেক আগে থেকেই। সেখানে গণহারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়েও অভিযুক্ত বেইজিং। তবে কোকা-কোলা তাদের সাপ্লাই চেইনে কোনো ধরনের জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ রেখেছে বলেই জানিয়েছে। এছাড়া জোরপূর্বক শ্রম বন্ধে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো সহযোগিতা করছে বলেই মন্তব্য তাদের।

কাজাখস, কিরগিজ এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু ১০ লাখের বেশি মুসলমানকে জিনজিয়ানের বন্দিশালায় আটকে রেখেছে চীন। ওই অঞ্চলে ব্যাপক নজরদারির পাশাপাশি গণআটক নিত্যদিনের ঘটনা। মানবাধিকার সংগঠন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং অন্যান্য স্বাধীন গবেষকরা এ বিষয়ে ব্যাপক তথ্য প্রমাণ হাজির করেছে। যেখানে বলা হয়, সংখ্যালঘু মুসলমানদের বিরুদ্ধে নির্যাতন, যৌন হয়রানি এবং জোরপূর্বক শ্রমে বা নামে মাত্র পারিশ্রমিকে কাজ করতে তাদের বাধ্য করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার স্ট্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট (এএসপিআই) এবং মার্কিন কংগ্রেসনাল এক্সিকিউটিভ কমিশন বিভিন্ন প্রতিবেনে এসব বিষয় তুলে ধরেছেন। যেখানে উইঘুরসহ সংখ্যালঘু মুসলমানদের থেকে জোরপূর্বক শ্রম আদায় করা হয় বলে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চীনা পণ্য বাতিলের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বের জনগণকে।

তথ্যসূত্র: দ্য স্পেক্টটর

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২১
এইচএমএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।