ইসলামের বিধান অনুসারে, কোনো মুসলমানের জন্য স্বাভাবিকভাবে হায়াত বাড়ানোর দোয়া করা শরিয়তসম্মত একটি বৈধ কাজ। নেক আমল বা দোয়ার দ্বারা আল্লাহর পক্ষ থেকে হায়াত বাড়ে হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
এমন কিছু সহজ ও সুন্দর আমল আছে, যেগুলোর মাধ্যমে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা হায়াত বাড়িয়ে দেন। আর হায়াত বেড়ে যাওয়া এটা আক্ষরিক অর্থে হতে পারে। আবার এমন অর্থও হতে পারে যে, মহান আল্লাহ হায়াতে বরকত দান করেন। ফলে অল্প সময়ে অনেক বেশি সৎকর্ম করা সম্ভব হয়। এই কারণেই কেউ কেউ (উদাহরণস্বরূপ) ৭০ বছরের কাজকর্ম ও আমল ৫০ বছরেই করে ফেলতে পারে। অথবা হায়াত বৃদ্ধি বলতে মহান আল্লাহ তাকে এমন কাজ করার তাওফিক দান করবেন, যা মানুষ যুগ যুগ ধরে স্মরণ রাখবে।
সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দোয়া ছাড়া অন্য কোনো কিছু ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারে না এবং মাতা-পিতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার ছাড়া অন্য কোনো কিছু হায়াত বাড়াতে পারে না’। (তিরমিজি, হাদিস : ২১৩৯)
আত্মীয়তার বন্ধন যারা ঠিক রাখে, তাদের জীবনে আল্লাহ তাআলা অদৃশ্য বরকত দান করবেন। আনাস ইবনু মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি চায় যে তার রিজিক প্রশস্ত হোক এবং আয়ু বর্ধিত হোক, সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন অক্ষুণ্ণ রাখে’। (বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৬)
যে ব্যক্তি প্রতিবেশীর হক আদায় করবে, মহান আল্লাহ তার হায়াতে বরকত দান করবেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখা, চরিত্র সুন্দর করা এবং প্রতিবেশীর সঙ্গে সদ্ব্যবহার রাখায় দেশ আবাদ থাকে এবং আয়ু বৃদ্ধি পায়। (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ২৫২৫৯)
রাসূলুল্লাহ (সা.)-ও কোনো সাহাবির জন্য হায়াত বৃদ্ধির দোয়া করেছেন। তবে নিজের হায়াত থেকে কিছু অংশ অন্য কাউকে দেওয়ার দোয়া করা শরিয়তে প্রমাণিত নয়। (তিরমিজি, হাদিস: ২১৩৯, আদাবুল মুফরাদ, হাদিস: ৬৫৩, বুখারি, হাদিস: ৬৩৪৯, মুসলিম, হাদিস: ৬৭৬৮)
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৪
জেএইচ