বৃক্ষরাজি আল্লাহ তাআলার বিশেষ নিয়ামতগুলোর অন্যতম। গাছপালা ও নানা রকম ফলদ বৃক্ষের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে জীবনোপকরণের উপাদান দান করে থাকেন এবং বৃক্ষরাজি দিয়ে আল্লাহ এই পৃথিবীকে সুশোভিত ও অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যদি নিশ্চিতভাবে জানো যে কিয়ামত এসে গেছে, তখন হাতে যদি একটি গাছের চারা থাকে, যা রোপণ করা যায়, তবে সেই চারাটি রোপণ করবে। ’ (আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৪৭৯)
নবীজি (সা.)- এর জীবনে বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন
রাসুল (সা.) কৃষিকাজ ও বৃক্ষরোপণে যারপরনাই উৎসাহিত করেছেন, যাতে উদ্ভিদ বৃদ্ধি পায় এবং সুস্থ পরিবেশ রক্ষা পায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো মুসলিম কোনো গাছ রোপণ করে অথবা ক্ষেতে ফসল বোনে আর তা থেকে কোনো পোকামাকড় কিংবা মানুষ বা চতুষ্পদ প্রাণী খায়, তাহলে তা তার জন্য সদকা হিসেবে গণ্য হবে। ’ (বুখারি, হাদিস : ২৩২০, মুসলিম, হাদিস : ৪০৫৫)
বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যায় শুধু সওয়াব অর্জিত হয় না, পরিবেশও রক্ষা পায়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃক্ষরোপণের প্রতি সাহাবিদের উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো বৃক্ষ রোপণ করে, আল্লাহ তাআলা এর বিনিময়ে তাকে ওই বৃক্ষের ফলের সমপরিমাণ প্রতিদান দান করবেন। ’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩৫৬৭)
বিনা প্রয়োজনে বৃক্ষনিধনে রাসুল (সা.)-এর হুঁশিয়ারি
বৃক্ষ পরিবেশ শান্ত ও মনোমুগ্ধকর রাখে। বৃক্ষ আমাদের বাসযোগ্য পরিবেশ গঠনে সহায়তা করে। তাই তা অহেতুক কর্তন করা কোনো বিবেকবান মানুষের কাজ হতে পারে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা প্রয়োজনে গাছ কাটবে আল্লাহ তার মাথা আগুনের মধ্যে নিক্ষেপ করবেন। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫২৪১)
গাছ যদি এমন স্থানে হয়, যার ফলে মানুষের চলাচল কষ্টকর হয়, পরিবেশ ও ঘরবাড়ির জন্য ক্ষতিকর হয় এবং মানুষের প্রয়োজনে কাটার প্রয়োজন হয়, তাহলে গাছ কাটতে কোনো অসুবিধা নেই।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া মাখযানুল উলূম, তালতলা, মোমেনশাহী।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৩ ঘণ্টা, জুন ২০,২০২৪
এএটি