ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

ফেনীতে মুনিরীয়া তরিক্বতের এশায়াত মাহফিল সম্পন্ন

আমিরাত করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৪ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৬
ফেনীতে মুনিরীয়া তরিক্বতের এশায়াত মাহফিল সম্পন্ন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ফেনী: ফেনীর পরশুরাম মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) ও ফাতেহায়ে এয়াজদাহুম উপলক্ষে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ১৩৫ নং ফেনী জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এশায়াত মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে।  

শুক্রবার (১১ মার্চ) বাদ জুমা থেকে শুরু হওয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মোর্শেদে আজম আওলাদে রাসূল হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী ছাহেব।

  

পরশুরাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদারের সভাপতিত্বে মাহফিলে অতিথিবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুর, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জালাল আহমদ, পরশুরাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এমানুমল করিম মজুমদার, কাউন্সিলর মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান, ফেনী জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রউফ প্রমুখ।    প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মুহাম্মদ ফোরকান মিয়া।  

কাগতিয়া দরবারে রয়েছে কোরআন-সুন্নাহ্ পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন উল্লেখ করে উপস্থিত ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উদ্দেশে প্রধান অতিথি বলেন, আল্লাহ ও রাসূল প্রেমিক ও মোমেন হতে হলে শরীয়তের পাশাপাশি তরিক্বত চর্চা করতে হবে। আর এক্ষেত্রে যুগশ্রেষ্ঠ আধ্যাত্মিক মনীষী গাউছুল আজম প্রতিষ্ঠিত এ দরবারে রয়েছে শরীয়ত ও তরিক্বতের অভূতপূর্ব সমন্বয় এবং কোরআন-সুন্নাহর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন।

এ দরবারের অনুসারীদের শরীয়তের সব হুকুম-আহকাম পালনে একনিষ্ট করার পাশাপাশি ইসলামী সোনালী ঐতিহ্য তাওয়াজ্জুহ্, মোরাকাবা ও ফয়েজে কুরআনের জ্যোতিতে শুদ্ধতায় উন্নত নৈতিক চরিত্র গঠনের দিকে ধাবিত করা হয়।  

তিনি আরও বলেন, সুস্থভাব গঠন এবং সমস্ত পাপাচার ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে যুব সমাজকে মুক্ত করাই এ দরবারের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। কেননা দেশের তরুণ ও যুবকদের আধ্যাত্মিক চেতনা বিকাশের মাধ্যমে কোরআন-সুন্নাহ আমলের দিকে ধাবিত করতে পারলে তারা কখনো বিপথগামী হবে না, বরং প্রকৃত ইনসানে কামেল তথা আলোকিত মানুষে পরিণত হয়ে দেশগঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।  

সভাপতির বক্তব্যে কামাল উদ্দিন মজুমদার বলেন, তরিক্বত চর্চার মাধ্যমে তরুণ ও যুবকদের চরিত্রে ও জীবনযাপনে যে আমূল পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে কাগতিয়া দরবার ও মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ। এ দরবারের অনুসারী যুবকদের তাকওয়া, ভদ্রতা ও বিনম্র ব্যবহার সত্যিই যে কাউকে মুগ্ধ করবে।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক মুহাম্মদ ফোরকান মিয়া বলেন, তরিক্বত মানুষকে সকল অসুন্দর থেকে সুন্দরের দিকে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ এনে দেয়।

এতে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন কাগতিয়া কামিল এম. এ. মাদ্রাসার মুহাদ্দিস আল্লামা মুহাম্মদ আশেকুর রহমান, আল্লামা মুহাম্মদ সেকান্দর আলী ও আল্লামা মুহাম্মদ ফোরকান।

মাহফিলে এলাকার বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি, আলেম, ছাত্র, শিক্ষক ও ব্যবসায়ী ছাড়াও সর্বস্তরের হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান উপস্থিত ছিলেন।

মিলাদ ও কিয়াম শেষে হুজুর ক্বেবলা দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজমের দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৫২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।