ঢাকা: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে শুক্রবার (৩০ অক্টোবর, ১২ রবিউল আউয়াল) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত হবে। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন।
দিবস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সারা দেশে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। অন্যান্য বছরগুলোতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা) বাদ মাগরিব ও বাদ এশায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে দেশ বরেণ্য বিশিষ্ট আলেম-ওলামারা ১৫ দিনব্যাপী ওয়াজ-মাহফিল পরিচালনা করতেন। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় এবার ওয়াজ জুম অ্যাপ, ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে।
এছাড়া মহানবী (সা.) এর জীবন ও কর্মের ওপর সপ্তাহব্যাপী সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। জুম অ্যাপের মাধ্যমে স্কুল, কলেজ, আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিলেরও আয়োজন করা হয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাদেও দিনটি পালন করতে দেশব্যাপী নানা আয়োজন করেছে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন। প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আনজুমানে রহমানিয়ার মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়ার উদ্যোগে রাজধানীতে জশনে জুলুস (র্যালি) অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বিভিন্ন মসজিদে মাগরিব এবং এশার নামাজ শেষে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত।
রাসুলুল্লাহ (সা.) গোটা মানবজাতির জন্য এমনকি সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত ও আশীর্বাদ হিসেবে পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ ঘোষণা করেন, ‘আর আমি আপনাকে (হযরত মুহাম্মদ) সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি। ’ (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত- ১০৭) আর তাই রাসুলুল্লাহ (সা.) এর সঙ্গে জড়িত বিশেষ এই দিনটির বিশেষ গুরুত্ব মুসলিম উম্মাহর কাছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২০
এইচএমএস/এএটি