সিলেট: রাত পোহালেই রোববার (১০ জুলাই) মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। করোনার প্রাদুর্ভাব কাটিয়ে গত পবিত্র ঈদুল ফিতরও খোলা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তবে করোনার জন্য বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। করোনা বাড়তে শুরু করায় কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে মুসল্লিদের। এ লক্ষ্যে নির্দেশনাও জারি করেছে সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)।
সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. লৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এবার জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় ৩৬৪ ঈদগাহ ও ২ হাজার ৪৬১টি মসজিদে ঈদ জামাত হবে। এরমধ্যে ১৭টি ঈদগাহ ও ২৮ মসজিদে একাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ঈদে এবার চার স্তরের নিরাপত্তায় উপজেলাগুলোতে হাটবাজারসহ সাড়ে ৮শ’ পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি বাড়তি নিরাপত্তায় থানা পুলিশের ১৫ জন করে ফোর্স দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া ৩৭টি স্পটে ট্রাফিক ডিউটি থাকবে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বাংলানিউজকে বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহায় ৪ স্তরের নিরাপত্তায় ২ হাজার ২শ’ পুলিশ মোতায়েন থাকবে। মুসল্লিদের ছাতা ও জায়নামাজ ব্যতিরেকে অন্য কিছু না আনার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এসএমপি ও জেলা পুলিশের তথ্য মতে, পবিত্র ঈদুল আজহায় সিলেট মহানগর ও জেলার ছোট-বড় ৩ হাজার ২৬৯ ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ৪৫৫ ঈদগাহ ও ২ হাজার ৮৪১ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা। সিলেট জেলা ও মহানগর পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিলেটে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে নগরের শাহী ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮ টায়। জামাতে ইমামতি এবং বয়ান ও খুতবা পেশ করবেন বন্দর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হযরত মাওলানা আবু হোরায়রা নোমান।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জামাত অনুষ্ঠিত হবে হযরত শাহজালাল (র.) মাজার মসজিদে। নামাজে ইমামতি করবেন দরগাহ মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আসজাদ হোসেন।
এছাড়া সিলেট কালেক্টরে মসজিদে সকাল ৮টায়, কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর বাইরে উল্লেখযোগ্য জামাত হবে শাহপরান (র.) ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায়। সিলেট সরকারি আলীয়া মাদরাসা মাঠে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২২
এনইউ/আরবি