গাজীপুর: দীর্ঘ এক যুগ বছর পর কারামুক্ত হয়েছেন মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে মুক্ত হন তিনি।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর জেলার মো. তরিকুল ইসলাম জানান, আদালত থেকে ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের জামিনের কাগজপত্র বিকেলে কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তিনি দীর্ঘ তাই এক যুগ ধরে কারাবন্দি ছিলেন।
এর আগে তার কারা মুক্তির খবর পেয়ে পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ও ডেসটিনি পরিবারের সদস্যরা কারা ফটকে জড়ো হন। পরে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তারা।
ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় দেন। এদিকে সাজার চেয়ে বেশি সময় কারাভোগ করায় জেল কর্তৃপক্ষকে রফিকুল আমিন ও মুহাম্মদ হোসেনকে কারামুক্ত করার নির্দেশ দেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুনুর রশিদ, প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান মো. হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ গোফরানুল হক, মো. সাইদ-উর রহমান, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়েবুর রহমান ও গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, পরিচালক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, মিসেস ফারহা দিবা ও জামসেদ আরা চৌধুরী, প্রফিট শেয়ারিং ডিস্ট্রিবিউটর মো. জসিম উদ্দীন ভূঁইয়া, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন ও সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, ডায়মন্ড এক্সিকিউটিভ এস এম আহসানুল কবির বিপ্লব, জোবায়ের সোহেল ও আব্দুল মান্নান এবং ক্রাউন এক্সিকিউটিভ মোসাদ্দেক আলী খান।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাজধানীর কলাবাগান থানায় ২০১২ সালের ৩১ জুলাই মামলা দুটি করে। ২০১৪ সালের ৪ মে একটি মামলায় ১৯ জনের এবং অপর মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
২০২২ সালের ১২ মে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এবং বেআইনিভাবে অর্থ পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনকে ১২ বছরের কারাদণ্ড হয়। এছাড়া হারুন অর রশীদসহ ৪৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অপরদিকে আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের শীর্ষ কর্মকর্তারা গাছ বিক্রির নামে ২ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন এই মামলায় উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) হিসাবে ৫৬ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৪০ টাকা এবং সরাসরি পাচার করা হয় আরও ২ লাখ ৬ হাজার মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫
আরএস/এসআই