ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ২ মে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৯
কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ২ মে খালেদা জিয়া

ঢাকা: বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সময়ের আবেদনের কারণে অভিযোগ গঠনের শুনানি ফের পিছিয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য ২ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) পুরান ঢাকার বকশিবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-২ এ খালেদা জিয়া অসুস্থ জানিয়ে তার আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করেন। বিচারক এইচ এম রুহুল ইমরান সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

মামলাটি হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ খারিজ করে দেওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষকে গত ১৩ মার্চ খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের করা আবেদনের রুল খারিজ করে দেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

একই সাথে মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত ৩১ জানুয়ারি এ মামলার আসামি বিএনপি নেতা আমিনুল হক ও এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর পক্ষে সময়ের আবেদন করেছিলেন তাদের আইনজীবীরা। আদালত শুনানি শেষে ২৬ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

মামলার ১৬ আসামির মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান ও বিএনপির সাবেক মহাসচিব আবদুল মান্নান, বিএনপি নেতা এম কে আনোয়ার ও এম শামসুল ইসলাম মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় মোট আসামি সংখ্যা ছিল ১৩ জন। চারজন মারা যাওয়ায় এখন মামলায় আসামির সংখ্যা ৯।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন— খালেদা জিয়া, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।

২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম, খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করেন শাহবাগ থানায়।

মামলার বাদী তার অভিযোগে বলেন, সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয় কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায়।

২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন খালেদা জিয়ার পক্ষে।  

বাংলাদেশ সময় ১৪৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৯
এমএআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।