ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নুসরা‌তের বান্ধবীসহ তিনজ‌নের সাক্ষ্য ৪ ন‌ভেম্বর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
নুসরা‌তের বান্ধবীসহ তিনজ‌নের সাক্ষ্য ৪ ন‌ভেম্বর আদালতে নেওয়া হচ্ছে ওসি মোয়াজ্জেমকে

ঢাকা: ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির একটি ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে আরও তিনজ‌নের সাক্ষ্যগ্রহণ ক‌র‌বেন আদালত।

এই তিনজ‌নের দু’জন নুসরাতের বান্ধবী ও আ‌রেকজন আই‌টি বি‌শেষজ্ঞ। বুধবার (৩০ অ‌ক্টোবর) সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন সাক্ষ্যগ্রহ‌ণের জন্য আগামী ৪ ন‌ভেম্বর দিন ধার্য ক‌রেন।

মামলার একমাত্র আসা‌মি ও‌সি মোয়ো‌জ্জেম এসময় আদাল‌তে উপ‌স্থি‌ত ছি‌লেন।

মামলায় এ পর্যন্ত মোট ৭ জন সাক্ষ্য দি‌য়ে‌ছেন। যার ম‌ধ্যে একজন আইনজীবী এবং তার সহকারী, নুসরা‌তের মা ও ভাই, একজন সাংবা‌দিক ও দুই পু‌লিশ সদস্য।

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে ‘অসম্মানজনক’ কথা বলায় ও তার জবানবন্দি ভিডিও ক‌রে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় গত ১৫ এপ্রিল সাইবার ট্রাইব্যুনালে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ওইদিনই আদালত এ মামলার তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

গত ২৭ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানার পক্ষে মামলার প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই। একইদিনে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত ১৬ জুন রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

গত ১৭ জুলাই আদালত আসামি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে অ‌ভি‌যোগ গঠ‌নের মাধ্য‌মে বিচার শুরুর আ‌দেশ দেন।

চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন নুসরাতের মা। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সিরাজ-উদ দৌলাকে পরে গ্রেফতার করা হয়। তবে অভিযোগ দেওয়ার সময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্নের পাশাপাশি তার বক্তব্য ভিডিও করেন ওসি মোয়াজ্জেম। পরে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, মৌখিক অভিযোগ নেওয়ার সময় দু’জন পুরুষের কণ্ঠ শোনা গেলেও সেখানে নুসরাত ছাড়া অন্য কোনো নারী বা তার আইনজীবী ছিলেন না।

গত ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষার আগমুহূর্তে বান্ধবীকে মারধরের কথা বলে নুসরাতকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলার বিরুদ্ধে সেই মামলা তুলে নিতে চাপ দেয় দুর্বৃত্তরা। এ‌তে অস্বীকৃতি জানালে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

ওইদিন নুসরাতকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়।

হত্যা মামলায় এর ম‌ধ্যেই অধ্যক্ষ সিরাজ সহ ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দি‌য়ে‌ছেন ফেনীর এক‌টি আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, অ‌ক্টোবর ৩০, ২০১৯
‌কেআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।