ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চর দখলে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বাঁধ, ভেঙে দিল প্রশাসন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
চর দখলে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বাঁধ, ভেঙে দিল প্রশাসন

মাদারীপুর: মাদারীপুর সদরে কুমার নদের চর অবৈধভাবে দখলে নিয়ে এক ইউপি চেয়ারম্যানের নির্মাণ করা বাঁধ গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার মস্তফাপুর স্লুইচগেট এলাকায় মাটিকাটার যন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে এ উচ্ছেদ অভিযান চালান সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইনউদ্দিন।

জানা গেছে, মস্তফাপুরে কুমার নদে জেগে ওঠা চর অবৈধভাবে দখল করে মাছ চাষের জন্য ঘের তৈরি করেন মস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন খান। চরের ৫০ নম্বর চতুরপাড়া মৌজায় বিআরএস ১ নম্বর খতিয়ানে ৬৩৪ নম্বর দাগে ৩ একরের বেশি জমি খাল শ্রেণি হিসেবে রেকর্ড করা। এ খালের জমিটা লেয়ার কুমার নদ হিসেবেই পরিচিত। সরকারি এ খাস জমির বিশাল একটি অংশ এক্সকাভেটর দিয়ে চারপাশের মাটি কেটে বেড়িবাঁধ দিয়ে ঘের তৈরি করেন ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান। প্রায় আধা কিলোমিটার দীর্ঘ মাটির বাঁধটি ২০ থেকে ২৫ ফুট চওড়া। বুধবার দুপুরে বাঁধটি ভেঙে দেয় প্রশাসন।

ইউএনও মো. মাইনউদ্দিন বলেন, চরের জমিতে ইউপি চেয়ারম্যান অবৈধভাবে ঘের করে মাছ চাষ ও শাক-সবজি চাষাবাদ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। একজন চেয়ারম্যান সরকারি খালের জায়গা এভাবে দখল করবেন, এটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। রাষ্ট্রের সম্পত্তি অনুমতি ছাড়া ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। এ কাজ করার জন্য চেয়ারম্যান তার পরিষদে যে মিটিং করে যে রেজুলেশন করেছেন, তা তিনি কোনোভাবেই করতে পারেন না।  

তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান কেন চর দখলে নিয়ে এমন কাজ করলেন, এ নিয়ে প্রশাসনিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপতত জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ইউপি চেয়ারম্যানের দখল করা বাঁধ ভেঙে দিয়েছি এবং বাঁশের খুঁটি গেঁথে লাল পতাকার নিশান লাগিয়ে নদের খাস জমির সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

অভিযানে মাদারীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম, মস্তফাপুর ইউনিয়নের ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আলেয়া আক্তার ও সদর থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।