ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চাটখিলে গৃহবধূকে ফাঁস দিয়ে হত্যার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
চাটখিলে গৃহবধূকে ফাঁস দিয়ে হত্যার অভিযোগ

নোয়াখালী: নোয়াখালীর চাটখিলে সালমা আক্তার রক্সি (২০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ নিহতের স্বজনদের।

 

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সকালের দিকে ওই গৃহবধূ তার স্বামীর বাড়িতে নিজ শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

নিহত সালমা আক্তার রক্সি রাম নারায়ণপুর ইউনিয়নের রাম নারায়ণপুর গ্রামের নাজির উল্যাহ কবিরাজ বাড়ির মো. সোলেমানের মেয়ে এবং একই গ্রামের চইয়্যাল বাড়ির সৌদি প্রবাসী মানিকের স্ত্রী।

নিহতের মা মুন্নি বেগম অভিযোগ করে বলেন, নয় মাস আগে বাড়ির পাশের চইয়্যাল বাড়ির রফিকের ছেলে সৌদি প্রবাসী মো. মানিকের সঙ্গে তার মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর জানতে পারি, মানিকের সঙ্গে তার এক মামাতো বোনের প্রেম ছিল। এ নিয়ে ওই মামাতো বোনের পরিবার প্রায় আমার মেয়েকে হুমকি দিতো। কিভাবে আমার মেয়ে তার স্বামীর ভাত খায়, তারা তা দেখে নেবে। এসব নিয়ে আমার মেয়ের সঙ্গে তার স্বামীর দাম্পত্য কলহ শুরু হয়।

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার রক্সির স্বামী প্রবাস থেকে তাকে হোয়াটসঅ্যাপে বিশ্রি ভাষায় ভয়েস পাঠায়। পরে আমার মেয়ে এসব কথা আমাদের শোনাতে মুঠোফোন নিয়ে বাবার বাড়িতে আসে। কিন্তু তার স্বামী ওই সব মেসেজ ডিলেট করে দেওয়ায় আর কাউকে সে ওই সব ভয়েস শোনাতে পারেনি।

নানা কারণে বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল জানিয়ে মুন্নি বেগম দাবি করেন, আমার মেয়েকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন কৌশলে মেরে ফেলে ঝুলিয়ে রেখেছে।

চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু জাফর জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে- এটি আত্মহত্যা, নাকি হত্যা!

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
এসসি/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।