ঢাকা: যানজটের নগর ঢাকায় চালু হলো মেট্রোরেল। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর বৃহস্পতিবার যাত্রীদের তা জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে।
যাত্রীরা দুই ধরনের টিকিট কেটে মেট্রোরেলে চড়তে পারবেন। একটি হলো সিঙ্গেল জার্নির টিকিট। আরেকটি হলো স্থায়ী এমআরটি পাস (কার্ড)।
যাদের স্থায়ী এমআরটি কার্ড নেই, তারা সিঙ্গেল জার্নির টিকিট স্টেশনের কাউন্টার বা টিকিট বিক্রয় মেশিন থেকে কিনবেন।
এটি যাত্রীদের প্রতিবার যাত্রার আগে কিনতে হবে। আর যাত্রা শেষে স্টেশনের স্বয়ংক্রিয় দরজায় জমা দিতে হবে। জমা না দিলে দরজা খুলবে না, ফলে যাত্রী স্টেশন থেকে বের হতে পারবেন না।
এমআরটি পাস বা পারমানেন্ট টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে কেনা যাবে। পাসের মূল্য ২০০ টাকা এবং এটি ফেরতযোগ্য।
এই টিকিট স্টেশনে জমা দিতে হবে না যাত্রীদের, এটি যাত্রীর নিজস্ব। স্টেশন থেকে এই টিকিট বা কার্ডে রিচার্জ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের মাধ্যমেও রিচার্জ করা যাবে।
এই দুই ধরনের টিকিটই পাওয়া যাবে মেট্রোরেলের সব স্টেশনে। টিকিট কাউন্টারের কর্মী এবং টিকিট বিক্রয় মেশিন থেকে টিকিট কেনা যাবে।
প্রথমে মেশিন থেকে টিকিট কাটার ক্ষেত্রে মনিটরে বাংলা অথবা ইংরেজি ভাষার অপশন আসবে। এটি থেকে ভাষা বেছে নিতে হবে যাত্রীদের।
এরপর টিকিটের ধরন অর্থাৎ সিঙ্গেল নাকি এমআরটি- তা নির্বাচন করতে হবে।
তারপর যাত্রীদের কোন স্টেশনে কত ভাড়া, সেই তালিকা দেওয়া হবে। এই তালিকা থেকে নিজ নিজ গন্তব্যের স্টেশন নির্ধারণ করতে পারবেন।
সবশেষ ধাপে যাত্রীকে ওকে বাটন নির্বাচন করে টাকা পরিশোধ করতে হবে। এ সময় মেশিনে টাকা দিলেই টিকিট বের হবে।
এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২০ টাকা এবং সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা দেওয়া যাবে।
দিয়াবাড়ির মেট্রোরেল এক্সিবিশন ইনফরমেশন সেন্টারে (এমইআইসি) জনসাধারণের জন্যে তথ্যকেন্দ্র করা হয়েছে। এই তথ্যকেন্দ্রে মেট্রোরেলের নানা বিষয় সম্পর্কে জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৮ ঘণ্টা, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২
এনবি/আরএইচ