রাজশাহী: রাজশাহীতে স্ত্রীকে নির্যাতন করে তালাকনামায় স্বাক্ষর করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বাঘা উপজেলার উত্তর গাওপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত স্ত্রীকে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উত্তর গাওপাড়া গ্রামের ছামির উদ্দিনের ছেলে আমির উদ্দিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার উত্তর গাওপাড়া গ্রামে স্বামীর মারপিটে আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উমরপুর গ্রামের হারেজ উদ্দিনের মেয়ে জরিনা খাতুন।
স্বজনরা বলছেন, এক বছর আগে লালপুর উপজেলার উমরপুর গ্রামের হারেজ উদ্দিনের মেয়ে জরিনা খাতুনের সঙ্গে বাঘা পৌর এলাকার গাওপাড়া গ্রামের ছমির উদ্দিনের ছেলে আমির উদ্দিনের বিয়ে হয়।
এতিমখানায় থাকার সময় প্রেম করে বিয়ে করলেও বিয়ের পর তেমন বনিবনা ছিল না তাদের। স্ত্রী জরিনাকে মধ্যে মধ্যে মারধর করতেন আমির উদ্দিন। তবে গত রোববার (১ জানুয়ারি) গোসলের পর আমির উদ্দিনের লুঙ্গি ধুতে দেরি হওয়ায় স্ত্রীকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দেন।
জরিনা খাতুনের বোন চাম্পা বেগম বলেন, আমার বাবা অত্যন্ত দরিদ্র মানুষ। দুঃখ-কষ্ট করেও বোনকে স্বামীর সংসার করাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বোনের কপালে তা আর হলো না! বোনকে নিয়ে থানায় গিয়েছিলাম। আগে চিকিৎসা নিয়ে পরে থানায় যেতে বলেছে পুলিশ। তাই বোনকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসাধীন জরিনা খাতুন বলেন, আমি সরেরহাট এতিমখানায় ছিলাম। সেখানে আমিরের সঙ্গে আমার প্রেম হয়। উভয়ের সম্মতিতে পরে তা বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই সংসারে অশান্তি লেগে ছিল। কারণে অকারণে মারধর করা হতো আমাকে। এমনকি মারপিট করে মাথার চুল কেটে ভয়ভীতি দেখিয়ে কাজী অফিসে গিয়ে জোর করে ডিভোর্স নিয়েছেন আমির।
এদিকে রাজশাহীর বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, স্বামীর আমির উদ্দিনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে এক নারী থানায় এসেছিলেন। কিন্তু ওই সময় অসুস্থ থাকায় প্রথমে তাকে চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে। তিনি একটু সুস্থ হয়ে অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন- বাঘা থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৩
এসএস/এসএ