ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

এপ্রিলে জাপান সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৩
এপ্রিলে জাপান সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ফাইল ফটো

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী এপ্রিল মাসে জাপান যেতে পারেন। এর আগে তার সফর স্থগিত হয়েছিল।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতকালে ঢাকায় নবনিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি তার দেশের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে জাপান সফরের প্রস্তাব দেন।

সৌজন্য সাক্ষাতের পরে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, জাপানি রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী মার্চ-এপ্রিলে জাপান সফরের প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এপ্রিলে যাওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

সাক্ষাতে দুই দেশের সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধন রয়েছে। এ সম্পর্ককে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যেতে রাষ্ট্রদূত কাজ করবেন বলে আশ্বাস দেন।

কিমিনোরি বলেন, ভবিষ্যত সম্পর্ক হবে কৌশলগত সম্পর্ক। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে জাপান সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগ আনতে কাজ করবেন জানিয়ে কিমিনোরি জানান, তিনি দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য জাপান বাংলাদেশের কাঠামোকে শক্তিশালী করতে কাজ করবেন। বাংলাদেশে কোর জাপানি বিনিয়োগ আনতে এবং দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করতে কাজ করবেন বলেও জানান।

রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ চায় এ রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যাক। জাপান বিষয়টি দ্বিপাক্ষিক এবং আসিয়ান ফোরামে তুলবে।

রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কক্সবাজার ও ভাষানচরে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম জোরদার করতে জাইকা ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে কাজ করছে। এছাড়াও  জাপানের কিছু এনজিও এসব এলাকায় কাজ করছে।

মেট্রোরেল নির্মাণে সহায়তার জন্য জাপানকে ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মেট্রোরেল জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। মেট্রোরেলের অন্য লাইনগুলো নির্মাণেও জাপান সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আশা করছি।

সাবরাং পর্যটন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপানি বিনিয়োগ আহ্বান করেন শেখ হাসিনা। তিনি জাপানকে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সমুদ্র সৈকত ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেওয়ারও আমন্ত্রণ জানান।

আগামী বছর উদ্বোধন হতে যাওয়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ করার জন্য জাপানকে ধন্যবাদ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। ওই টার্মিনালের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বও একটি জাপানি কোম্পানিকে দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

বাংলাদেশ এশিয়ার বিনিয়োগকারী দেশগুলোর জন্য সেরা বিনিয়োগ প্যাকেজ অফার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগ আহ্বান করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক সুবিধার কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে তাদের পণ্য রপ্তানি করে মুনাফা অর্জন করতে পারে।

জাপানের সঙ্গে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে জাপান বাংলাদেশের পরম বন্ধু। জাপানের অবস্থান তার (প্রধানমন্ত্রী) এবং তার পরিবারের সদস্যদের হৃদয়ে।

সাক্ষাতকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর জাপান সফরের কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। কিন্তু সে সফর স্থগিত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৩
এমইউএম /জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।