ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নারীবান্ধব জাতীয় বাজেটের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
নারীবান্ধব জাতীয় বাজেটের দাবি

খুলনা: নারীবান্ধব জাতীয় বাজেট চাই: সমতা ও ক্ষমতায়নে নারীর ভূমিকা— শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনায় একটি সেমিনার কক্ষে জনউদ্যোগ, খুলনার উদ্যোগে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন জনউদ্যোগ নারী সেলের আহ্বায়ক নারীনেত্রী অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শীলু। সভায় অতিথি ছিলেন খুলনা মহিলা বিষযক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসনা হেনা, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আমেনা হালিম বেবি, সাবেক থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রিনা পারভীন, গৃহসুখনের পরিচালক সালমা রহমান।

সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন জনউদ্যাগ, খুলনার সদস্য সচিব মহেন্দ্রনাথ সেন। ধারণাপত্র পাঠ করেন দৈনিক জন্মভূমির মফস্বল সম্পাদক মোরশেদ নেওয়াজ।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আলমাস আরা, মুক্তা জামান, উন্মুর রেদা, আফসানা চম্পা, মালা খাতুন, আম্মু মনোয়ারা বেগম, সম্পা আক্তার, ফাতেমা তুজ জোহরা, ঝরনা ঘোষ, নুসরাত জাহান, শবনম জাহিদ প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, নারী-পুরুষের সমতা অর্জনকে বেগবান করতে হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নারীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক হারে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। অগ্রগতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নারী শিক্ষার মানোন্নয়ন, সৃজনশীল কর্মমুখী শিক্ষা এবং গবেষণায় নারীর অংশগ্রহণ ও অবদান প্রয়োজন। স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণে নারীর জন্য অর্থ বরাদ্ধ প্রয়োজন।

বক্তারা আরও বলেন, তৃণমূলে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নেওয়া হয়েছে অনেক রাজনৈতিক কর্মসূচি। কিন্তু সেগুলো কতটা আলঙ্কারিক আর কতটা বাস্তবসম্মতভাবে নেওয়া হয়েছে, সেটিও মনিটরিং প্রয়োজন। কারণ কেবল পদায়নেই সমাধান আসে না বরং নারী কাউন্সিলর বা জনপ্রতিনিধিদের আর্থিক ক্ষমতায়নকে স্বীকৃতি দিতে হবে বাজেটে। খাতওয়ারি বরাদ্ধ রাখতে হবে তাদের জন্য। উন্নত দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে।

নারীনেত্রীরা বলেন, সমাজে নারীরা এখনও অনেক দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে। সম্পদের সমান অধিকার থেকে শিক্ষা, অর্থনীতি, রাজনীতির অনেক জায়গাতেই নারীদের পূর্ণ ও যৌক্তিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়নি। তাই মুখে আমরা যতই নারীর উন্নয়ন বা নারীর ক্ষমতায়নের কথাটি বলি না কেন, এটিকে যদি জাতীয় পরিকল্পনায় আনা না যায় তাহলে এটি কেবল কথার কথাই থাকবে। পরিকল্পনায় আনাই কেবল কাজ নয়। এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যয়ের উৎসটিও বলে দিতে হবে।

তারা বলেন, প্রচুর নারী উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে এখন। কিন্তু এসব উদ্যোক্তাদের বেশির ভাগই কাজ করছে অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে। তাদের জন্য নেই কোনো জাতীয় পরিকল্পনা বা নীতিমালা। আর্থিক সংকটে আছে অনেক উদ্যোক্তা। যার কারণে উদ্যোক্তা তৈরির মতো এমন একটি সম্ভাবনাময় খাত উঠতে চেয়েও পারছে না। ঝাঁকে ঝাঁকে নারীরা এগিয়ে এসেও পিছিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭ , ২০২৩
এমআরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।