ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মানবপাচার রোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
মানবপাচার রোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা: ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভ বলেছেন, কোনো পরিকল্পনাই সফল হতে পারে না যদি না সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করা না হয়। আর সে কারণেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার মানবপাচার প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা জোরদার ও এর মতো ভয়ঙ্কর অপরাধ অবসানে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করা অব্যাহত রাখবে।

বুধবার ( ১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা সংশোধন ও সম্প্রসারণের জন্য এ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন হেলেন লাফাভ। এতে আরও যোগ দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান ও বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির দাসত্ব ও মানব পাচার প্রতিরোধ সংক্রান্ত প্রকল্প ‘ফাইট স্লেভারি অ্যান্ড ট্রাফিকিং ইন পারসনস’ এর অধীনে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। যেখানে সরকারি ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা সংশোধিত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে আঞ্চলিক পর্যায়ের কর্মশালাগুলো থেকে প্রাপ্ত সুপারিশমালার ওপর তাদের মতামত দেবেন।

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানব পাচার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করেছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে সাতটি বিশেষ ট্রাইবুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, পাচার-বিরোধী টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে এবং জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হবে। এই সময়ে বিচার ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করা হবে, যাতে অপরাধীদের দমন জোরদার এবং পাচারের শিকার থেকে রক্ষা পাওয়া ভুক্তভোগীদের (সারভাইভর) সুরক্ষা ও তাদেরকে সমাজে পুনঃএকত্রীকরণে সহায়তা করা যায়।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার মানব পাচার রোধে জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করে আসছে। ইউএসএআইডি দাসত্বের বিরুদ্ধে লড়াই ও মানব পাচার প্রতিরোধের লক্ষ্যে পরিচালিত ‘ফাইট স্লেভারি অ্যান্ড ট্রাফিকিং ইন পারসনস’ প্রকল্পের অধীনে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ৪শরও বেশি বিচারক, পাবলিক প্রসিকিউটর, ট্রাইব্যুনাল কর্মকর্তা ও প্যানেল আইনজীবী এবং স্থানীয় পর্যায়ের পাচার-প্রতিরোধকারী কমিটির ৩ হাজার সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
টিআর/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।