মাদারীপুর: মাদারীপুরে রেল প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে দুর্নীতির মামলায় শাহীন বেপারী (৫৬) নামে এক ব্যক্তিতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে তাকে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়।
মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতু রেললাইন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের এক কোটি ৮৮ লাখ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে তুলে নেওয়ার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়। বুধবার দুপুরে পাঁচজনের নামে সদর মডেল মামলাটি করেন জেলা প্রশাসকের এলএ শাখার কম্পিউটার অপারেটর সোহাগ মিয়া।
জানা গেছে, মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের মফিতুল্লা হাওলাদারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা হারুণ বেপারী নামে এক ব্যক্তির ডাইয়ারচর মৌজার জমি
পদ্মা সেতুর রেল প্রকল্পে অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেয় সরকার। পরে অধিগ্রহণের বিল পেতে জেলা প্রশাসকের এলএ শাখায় ঘুরতে থাকেন হারুন বেপারী।
ক্ষতিপূরণের অর্থ চাইলে কর্মকর্তারা নানান অজুহাত দেখিয়ে তাকে ফিরিয়ে দেন। এরপরও ক্ষতিপূরণ পেতে শতাধিকবার আসেন এলএ শাখায়। একপর্যায়ে জেলা প্রশাসককে জানালে বেরিয়ে আসে ঘটনার আসল রহস্য।
জানতে পারেন, প্রতারণার মাধ্যমে ২০২১ সালের ৪ মার্চ তুলে নেওয়া হয় তার ক্ষতিপূরণের এক কোটি ৮৮ লাখ ১৪ হাজার ৩০০ টাকা।
এ ঘটনায় পাঁচজনের নামে সদর মডেল থানায় মামলা করেন জেলা প্রশাসকের এলএ শাখার কম্পিউটার অপারেটর সোহাগ মিয়া। এরই মধ্যে শাহীন বেপারী (৫৬) নামে একজনকে গ্রেফতার করে বুধবার বিকেলে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শাহীন বেপারী ছাড়াও মামলায় আরো আসামি করা হয়েছে আলী জামান (৫৫), নজরুল খাঁ (৩৫), আক্তারুজ্জামান (৪৫) ও নাসিরউদ্দিনকে (৪৫)। তাদের সবার বাড়ি শিবচর উপজেলায়।
হারুণ বেপারী জানান, এ ঘটনার সঙ্গে সরকারি কোনো কর্মকর্তা জড়িত থাকলে তদন্ত করে তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
এসআই