ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মেলায় গিয়ে নিখোঁজ যুবক, ৬ দিন পর মিলল গলাকাটা মরদেহ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৩
মেলায় গিয়ে নিখোঁজ যুবক, ৬ দিন পর মিলল গলাকাটা মরদেহ  নিহত ইয়াসিন মোল্যা। ছবি: সংগৃহীত

নড়াইল: শখের নতুন লাল জুতা আর পালসার মোটরসাইকেল নিয়ে মেলায় ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজের ছয় দিন পর বিলের মধ্যে সরিষা ক্ষেতের পাশ থেকে ইয়াসিন মোল্যা (২২) নামের এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোবরার (২২ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে নড়াইল সদরের শাহবাদ ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্ৰামের বাঁশতলার বিল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।


 
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান।
 
নিহত ইয়াসিন কালিয়া উপজেলার কালডাঙ্গা গ্রামের বিল্লাল মোল্যার ছেলে। তারা পরিবার নিয়ে সদরের ভওয়াখালি মধ্যপাড়া গ্রামের কাসেম শিকদারের ভাড়া বাড়িতে বাস করতেন৷ পেশায় তিনি একজন রাজমিস্ত্রী ছিলেন।
 
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গত সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কাজ থেকে বাসায় আসেন ইয়াসিন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে নতুন লাল জুতা, হাতে ঘড়ি পরে ভাইয়ের পালসার মোটরসাইকেল নিয়ে সদরের হিজলডাঙ্গার পৌষ সংক্রান্তি মেলা দেখার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। তবে রাতে তিনি বাসায় ফেরেননি। এরপর থেকেই তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
 
পরের ২ দিন ধরে বাসায় না ফেরায় সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুজির পর সন্ধান না মেলায় বুধবার (১৮ জানুয়ারি) নিহতের বোন শিরিনা বেগম নড়াইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
 
রোববার দুপুরে স্থানীয়রা আলোকদিয়া গ্ৰামের বাঁশতলার বিলের রাস্তার ধারে সরিষা ক্ষেতের পাশে দুর্গন্ধের সন্ধান করতে গিয়ে খেজুর পাতা দিয়ে ঢাকা একটি মরদেহের সন্ধান পায়। পরে তারা থানায় খরব দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
 
নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর মোল্যা বাংলানিউজকে বলেন, আমার ভাইকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীরা তার চোখও তুলে নিয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
 
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মরদেহের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমরা ঘটনাস্থলে আসি। মরদেহের পোশাক দেখে সন্দেহ হলে নিখোঁজ ইয়সিন মোল্যার ভাই জাহাঙ্গীর মোল্যাকে খবর দেওয়া হয়। তিনি এসে সনাক্ত করেন মরদেহটি তার ভাইয়ের। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
 
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার (এসপি) সাদিরা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিক সুরতহাল শেষে নিশ্চিত যে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে হত্যাকাণ্ডের ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। নিহতের বোনের জিডির অনুকূলে তদন্ত চলমান রয়েছে। হত্যাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৩
 এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।