ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জটের মাঝে হাসির ঝিলিক ছড়িয়ে গেল ফুলকলি

জুনায়েদ আহমেদ, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
জটের মাঝে হাসির ঝিলিক ছড়িয়ে গেল ফুলকলি ব্যস্ত রাস্তার বেলুন বিক্রেতা তারা

ঢাকা: তখন দিনের আলো পশ্চিমে বিদায় নিচ্ছে। প্রতিদিনের মত আজও ব্যস্ত শহর, ব্যস্ত নগরীর রাস্তাগুলো।

ব্যস্ত এ শহরের উঁচু, নিচু, মধ্যস্তর আর নিম্নবিত্তের মানুষগুলো। কেউ ব্যস্ত সৌখিন সময় কাটানো নিয়ে, কেউ ব্যস্ত দু-বেলা, দু-মুঠো ডাল ভাত খাওয়ার জন্য। কারো শখগুলো বড়, কারো ছোট।

কিছু দিন আগের ঘটনা। শেষ বিকেলে এক বন্ধুসহ যাচ্ছিলাম টিএসসি চত্ত্বরে, চায়ের আড্ডায়। রাস্তায় প্রচুর যানজট, তাই বসে আছি জ্যামে। হঠাৎ দেখা মিলল দুই ছোট শখের ছোট মানুষের সঙ্গে। সামান্য একটা আবদার করল। আবদার পূরণ করতেই দেখা মিলেছে একগাল হাসির। সেই হাসিটা সাময়িক সময়ের। যে হাসির আড়ালে বছরের পর বছর লুকায়িত থেকে যায় অনেক আবদার, অনেক ইচ্ছে, অনেক শখ। পূরণ করার কেউ নেই।

যে বয়সটায় তাদের হেসে-খেলে বেড়ানোর কথা, সেই বয়সেই ব্যস্ততা তাদের দেয়না ছুটি। দিন শেষে খাবারের টাকা যোগান দেওয়ার জন্যই সকাল-সন্ধ্যা বেলুন নিয়ে ব্যস্ত শহরের রাজপথে ঘোরাঘুরি। নেই কোনো আলাদা শখ, নেই কাজের বিরতি। কাজ করলে খাওয়া জোটে, না করলে জোটে না।

অথচ এরাই যদি কোনো বড় ঘরের সন্তান হতো, হয়তো সফল মানুষের কাতারে একজন হতে পারত। বেঁচে থাকার জন্যই যাদের এই বয়সে জীবন যুদ্ধে নামতে হয়, তাদের আবার সফলতার চিন্তা! যার আছে, তার খবর নেওয়ার লোকের অভাব হয়না। যার নেই, তার খবর নেওয়া তো দূরের কথা, তাকিয়ে এক নজর দেখার কেউ নেই। জগৎ চলছে এই নিষ্ঠুর নিয়ম নীতিতে।

এই দুনিয়াটা বড়ই অদ্ভুত। যার খাবার আছে তার ক্ষুধা নেই, যার ক্ষুধা আছে তার খাবার নেই। তবু কারো জন্য কারো সময় থেমে থাকেনা, পার হয়ে যায় একটু একটু করে।

ভালো থাকুক পৃথিবীর সব অবহেলিত শিশু।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।