ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সেন্টমার্টিনের পরিবেশ-প্রতিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থায়ী কমিটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩
সেন্টমার্টিনের পরিবেশ-প্রতিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থায়ী কমিটি

কক্সবাজার: দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ, পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

আর দ্বীপে চলমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী পাঁচ বছর পর কোনো পর্যটক সেখানে ভ্রমণে যাবে কিনা সন্দেহ পোষণ করেন তিনি।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

উবায়দুল মোকতাদির জানান, তিনি ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হিসেবে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে এসেছিলেন। ওই সময় দ্বীপটির প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্যের পরিবেশ দেখে যে কেউ বিমোহিত হতো।

‘ওই সময় দ্বীপ জুড়ে প্রবাল পাথর, নীল জলরাশির স্রোত ও কেয়াবনের জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। যা দেখে জুড়িয়ে যেত ভ্রমণ পিপাসুদের মন । কিন্তু বর্তমানে দ্বীপটির পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগ-উৎকন্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ’ যোগ করেন তিনি।  

পর্যটন মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি বলেন, দ্বীপটিতে অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ এবং সার্বিক অবস্থা এক প্রকার ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গেছে। এ ধরনের অব্যবস্থাপনা চলতে থাকলে আগামী ৫ বছর পর দ্বীপটিতে কোনো পর্যটক ভ্রমণে আসবেন কিনা এ নিয়ে আমি সন্দিহান।

স্থায়ী কমিটির সভা করতে কমিটির সদস্যরা দ্বীপে গিয়ে পৌঁছে বেলা ১২ টার দিকে। সেখানে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তারা। এরপর কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, কানিজ ফাতেমা আহমেদ এমপি, পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিনুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী ও আবদুর রহমান বদি, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান ও স্থানীয় মো. মুজিবুর রহমান সহ সরকারি পদস্থ কর্মকর্তারা।  

সভায় উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি বলেন, আমরা সবাই পর্যটন বিকাশের কথা বলে বেড়াই। এখানে পর্যটনের নামে সরকারি রাজস্ব আদায়ের উপলক্ষ চিন্তা কারও নেই। যা হচ্ছে ব্যক্তি বিশেষের টাকা আদায়।

৮ বছর আগে নাফ নদীতে এলজিইডির অধীনে ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি জেটি নির্মাণ হয়। কিন্তু ওই জেটিটি কোনোভাবে ব্যবহার হয় না। অপরিকল্পিত ও অস্থায়ীভাবে দমদমিয়ার জেটি থেকে জাহাজ চলাচল করে। যে টাকা যাচ্ছে ব্যক্তির কাছে, তা সরকার পাচ্ছে না।

সভায় আবদুর রহমান বদি সেন্টমার্টিনস্থ জেটিটি ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে এটি বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছে হস্তান্তরের দাবি জানান।

স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এসব বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৩
এসবি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।