ঢাকা, রবিবার, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পরিচয় মিলেছে হিমাগারে পাওয়া সেই অজ্ঞাত মরদেহের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
পরিচয় মিলেছে হিমাগারে পাওয়া সেই অজ্ঞাত মরদেহের উদ্ধার হওয়া মরদেহ ইনসেটে মাহিনুর বেগম

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদরের চররমনী মোহনে একটি পরিত্যক্ত হিমাগার (কোল্ড স্টোরেজ) থেকে উদ্ধার হওয়া নারীর মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তার নাম মাহিনুর বেগম (২৫)।

জেলার সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের (১ নম্বর ওয়ার্ড) ওসিম উদ্দিন বেপারি বাড়ির নুর নবীর মেয়ে।  

দুর্বৃত্তের হাতে খুন হওয়া নারীর মরদেহ বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়। পরে মরদেহ উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে পরিবারের লোকজন সেটি দেখে পরিচয় নিশ্চিত করে।  

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর হাসপাতালের লাশকাটা ঘরের সামনে নিহত মাহিনুর বেগমের মা মনি বেগম ও বড় বোন রোকেয়া বেগমের সঙ্গে দেখা হয়।  

এ সময় তারা জানায়, মাহিনুর জেলা শহরের বিসিক শিল্প নগরীর একটি চকলেট কারখানায় চাকরি করতো। সেখানে তার তিন মাসের বেতন বকেয়া ছিল। গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মাহিনুর বেতন আনার জন্য কারখানার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। ওইদিন সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্নস্থানে তার খোঁজ করা হচ্ছিল। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে তার মরদেহের সন্ধান পায় পরিবারের সদস্যরা। রাতেই নিহত মাহিনুর বেগমের বড় ভাই মো. তামিম সদর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তারা আরও জানান, নিহত মাহিনুর বেগমের স্বামীর সঙ্গে প্রায় তিন বছর আগে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। তানজিমা শারমিন ইমু নামে তার ৯ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। ওই মেয়েটি মায়ের সঙ্গে নানার বাড়িতে থাকতো। গত শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মাহিনুর তার মেয়েকে স্বামীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

তারা বলেন, কি কারণে বা কারা মাহিনুরকে হত্যা করেছে তা আমরা নিশ্চিত নয়। তবে যারা মাহিনুরকে হত্যা করছে, পুলিশ যাতে দ্রুত হত্যার রহস্য উদঘাটন করে তাদের আইনের আওতায় আনে।  
 
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন জানান, অজ্ঞাত মরদেহের নাম-পরিচয় মিলছে। রাতেই নিহত মাহিনুর বেগমের বড় ভাই তামিম অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে কাজ করছে।

প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজুচৌধুরীর হাট সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত আলুর হিমাগারের ভেতর থেকে মাহিনুরের মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। ওই সময় তার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। মরদেহের গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। তাকে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। স্থানীয় একটি শিশু বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রাকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের জানায়। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।