ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারে জলদস্যুদের গুলি, ৯ জেলে নিখোঁজ

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারে জলদস্যুদের গুলি, ৯ জেলে নিখোঁজ প্রতীকী ছবি

পাথরঘাটা (বরগুনা): বঙ্গোপসাগরে একটি মাছ ধরা ট্রলারে জলদস্যুদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই ট্রলারে ১৯ জেলের ওপরে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে ৯ জেলেকে গুরুতর জখম করেছে জলদস্যুরা।

 

এসময় জীবন বাঁচাতে সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন ৯ জেলে। ট্রলারের সব মালামাল লুটে নিয়ে চলে যায় জলদস্যুরা।  

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত আড়াইটার দিকে পাথরঘাটা থেকে ৮০ কিলোমিটার পূর্বে বঙ্গোপসাগরে পায়রা বন্দর থেকে পশ্চিমে বয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

যদিও এমন কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন বরিশাল‌ র‌্যাব-৮।  

র‌্যাব-৮ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদ বলেন, সাগরে জলদস্যুদের আক্রমণের কোনো খবর এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি। তবে মৎস্যজীবি নেতাদের সঙ্হে কথা বলে খোঁজ‌খবর নিচ্ছি।

এদিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময় জমখ  ৯ জেলেকে উদ্ধারে ট্রলার নিয়ে রওয়ানা হয়েছেন উপকূলের মৎস্যজীবীরা।

এসব জেলেরা হলেন- মো. মিরাজ হোসেন, আফজাল হোসেন, আলমগীর হোসেন, রায়হান, আ. করিম, খোকন মিয়া, নুর মোহাম্মদ, মধু মিয়া ও আব্দুল হক।  

নিখোঁজ ৯ জেলে হলেন - কাইউম জোমাদ্দার (৩৫) , ইয়াছিন জোমাদ্দার (৩২), আবুল কালাম (৫৮), শফিকুল মাঝি (৩৫), খাইরুল ইসলাম (৪০), আবদুল আলীম (৫৫), ফরিদ (৩৮), আবদুল হাই (৪০) সহ অজ্ঞাতনামা একজন জেলে।  

এসব জেলেদের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা, তালতলী ও আমতলী এলাকার বলে জানান বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।  

তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার উদ্দেশে বরগুনার চরকগাছিয়া গ্রামের মনির হোসেনের এফবি ভাই ভাই ট্রলার নিয়ে রওয়ানা হয় ১৯ জেলে। শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে পায়রা বন্দর বয়া এলাকায় পেছন থেকে জলদস্যুদের একটি ট্রলার ধাক্কা দেয়। এ সময় ওই ট্রলার থেকে গুলি ছোড়া হয়। পরে ট্রলারে উঠে জেলেদের কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তারা। জলদস্যুদের হামলার শিকার হয়ে ৯ জেলে সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিখোঁজ হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক জেলেই গুলিবিদ্ধ ও কুপিয়ে জখম হয়েছে। এর মধ্যে খোকন, মধু ও আব্দুল হকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ট্রলার মালিক মনির হোসেন বলেন, ৯ জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। বাকি ৯ জেলে গুরুতর জখম থাকায় তাদের ফিরিয়ে আনতে অন্য একটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে। ফিরিয়ে আনতে যাওয়া জেলেরা জানায় পাথরঘাটার উদ্দেশ্যে আসার পথে সাগরে আটকা পড়েছেন‌।  

তিনি আরও বলেন, প্রায় ৫ লাখ টাকার রসদ সামগ্রী লুটে নিয়ে যায় দস্যুরা। তবে সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়া জেলেদের জীবন নিয়ে শঙ্কিত আমরা।

বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার আ. ছালাম বলেন, আমরা এমন খবর শুনেছি। খোঁজ খবর নিচ্ছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩
এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।