চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রেলওয়ে স্টেশনে দুটি ট্রেনের স্টপেজসহ ছয় দফা দাবিতে ট্রেন আটকে রেলপথ অবরোধ করেছেন স্থানীয় জনগণ।
বুধবার (১ মার্চ) সকাল ১১টায় দর্শনা হল্ট স্টেশনে চিলাহাটিগামী রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
‘দর্শনার জন্য আমরা’ নামে একটি সংগঠনের ডাকা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, সমাজ সেবক ও স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
রেলপথ অবরোধ আন্দোলনে অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, দর্শনা হল্ট স্টেশনে সুন্দরবন আপ ও চিত্রা ডাউন ট্রেনের যাত্রাবিরতি দর্শনাবাসীর প্রাণের দাবি। অথচ রহস্যজনক কারণে দর্শনায় এ দুটি ট্রেনের স্টপেজ নেই। এতে মধ্যরাতে দুর্ভোগে পড়তে হয় দর্শনাসহ আশপাশের হাজার হাজার মানুষকে।
এছাড়া আমাদের অন্যতম চাওয়া হলো- ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে দর্শনা থেকে যাত্রী ওঠা-নামা ও আসন বরাদ্দের ব্যবস্থা করা।
একই সঙ্গে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন পুনরায় চালু করা, রেলগেটে ওভারপাস আন্ডারপাস নির্মাণ, রেলওয়ে কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, খুলনা-দর্শনা রেলপথে ডাবল লাইন কাজ দ্রুত শুরু, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের পুনরায় দুটি এসি কোচ ও কোচ সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। এসব দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
এদিকে অবরোধের খবর পেয়ে দর্শনা হল্ট স্টেশন এলাকায় পৌঁছান দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোকসানা মিতা। এসময় আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ যৌক্তিক দাবিগুলোর পক্ষে প্রশাসন রয়েছে। এসব দাবি পূরণের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আপনাদের হয়ে আমরা কাজ করে যাব।
পরে ইউএনওর অনুরোধে আন্দোলন থেকে সড়ে দাঁড়ান আন্দোলনকারীরা। সচল হয় ট্রেন চলাচল।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে বক্তব্য দেন- দর্শনার জন্য আমরা সংগঠনের আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম জাকারিয়া আলমসহ অন্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, মার্চ, ০১, ২০২৩
এসআই