ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্মার্ট বাংলাদেশের পরিকল্পনা শতাব্দীর সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত: কৃষিমন্ত্রী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৩
স্মার্ট বাংলাদেশের পরিকল্পনা শতাব্দীর সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত: কৃষিমন্ত্রী

টাঙ্গাইল: কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশের পরিকল্পনা এ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সিদ্ধান্ত।

তিনি রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আপনাদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। আপনারা মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর আদর্শের দিকে তাকান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব এবং তার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নের দিকে তাকান। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদ, অকুতভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন। আজ দেশ ও জাতি আপনাদের দিকেই তাকিয়ে আছে। আপনাদের মেধা, শ্রম ও গবেষণার দ্বারাই এ জাতির যাবতীয় সংকটের অবসান ঘটবে। আপনারা দেশ ও জাতির সামনে আশার আলো স্বরূপ। আপনাদের কর্মস্পৃহা এ দেশকে সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।

তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নে দক্ষ মানবসম্পদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। আমাদের মতো দেশে- যাদের প্রাকৃতিক সম্পদ খুব সীমিত, সেখানে দক্ষ মানবসম্পদ বেশি গুরত্বপূর্ণ। আপনাদের মতো তরুণরাই আমাদের দেশের বিরাট শক্তি ও প্রকৃত সম্পদ। এ তারণ্যের শক্তি কাজে লাগাতে বর্তমান সরকারও নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এ বাস্তবতায় আপনাদের নিজেদেরকেও দক্ষ করে তুলতে হবে।

বর্তমান সরকার বিগত ১৪ বছরে শিক্ষার মানোন্নয়ন, অবকাঠামো নির্মাণ, গবেষণায় উৎকর্ষ সাধনে বিশাল বিনিয়োগ করেছে ও শিক্ষাবান্ধব নানান পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে। শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধকরণে ব্যাপক হারে ফেলোশিপ দিচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষাখাতে এ বিশাল বিনিয়োগ দেশকে কাঙ্ক্ষিত সময়ের আগেই উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করবে, যোগ করেন মন্ত্রী।

খাদ্য নিরাপত্তার প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ, অবরোধ-পাল্টা অবরোধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী ‘খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা’ বেড়েছে। বেড়েছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে এবং বহুমুখী দুর্যোগের মধ্যেও বিশ্বে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।  

সমাবর্তনে আরও বক্তব্য দেন সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালইজডের (সিআরপি) পরিকল্পক ও প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি অ্যান টেইলর। অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. ফরহাদ হোসেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এআরএম সোলাইমান, রেজিস্ট্রার মোহা. তৌহিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলামসহ অনেকে এসময় বক্তব্য দেন।
 
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, সংসদ সদস্য খন্দকার মমতা হেনা, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।