ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল বিএনপি: কাদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২৩
৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল বিএনপি: কাদের

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি বিএনপির নূন্যতম চেতনা নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল। যে ভাষণ ইউনেস্কো পৃথিবীর অন্যতম সেরা ভাষণের স্বীকৃতি দিয়েছিল সেই ভাষণ তারা বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকাকালে নিষিদ্ধ করেছিল।

কাজে এই দিবসের প্রতি, তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি তাদের নূন্যতম বিশ্বাস বা চেতনা ধারণ করে সেটা আমরা বিশ্বাস করি না।  

৭ মার্চ উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, ৭ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসের বাক পরিবর্তনের এক ঐতিহাসিক মাইলফলক। রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ স্বাধীনতার ডাক।  

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে বিএনপি। গণতন্ত্র একটা দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া। রাতা রাতি গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পাবে না। আমাদের চেষ্টা আছে। গণতন্ত্র ক্রমে ক্রমে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পাচ্ছে। যেটুকুই আছে সেটা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছে।
 
তারা গণতন্ত্রকে একটা চোখা শব্দ বলতে হবে, এই জন্য বলে। তাদের ক্ষমতার আমলটা তারা কী ভাবে চর্চা করেছে সেটা দেখতে হবে। এটা এমন একটা দল, তাদের নিজেদের ঘরেই গণতন্ত্র নাই। তারা দেশে গণতন্ত্র কী ভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে?

ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন- এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। সেদিনেই ছিল আসলে স্বাধীনতার মূল ঘোষণা। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতারের পর রাত সাড়ে ১২টায় যে স্বাধীনতার ঘোষণা সেটা আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু স্বাধীনতার মূল ঘোষণা সেটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ভাষণের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে। এই ভাষণের মধ্যদিয়ে আমাদের ২৩ বছরে স্বাধিকার সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রামে পরিণত হয়। স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা এটা হলো পরিবর্তণ।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণার এক মাত্র বৈধ অধিকার ছিল বঙ্গবন্ধুর। কারণ, তিনি জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। তৎকালীন পূর্ববাংলায় ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসন বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ পেয়েছিল। কাজে, স্বাধীনতা ঘোষণা বৈধ অধিকার ছিল এক মাত্র বঙ্গবন্ধুর। অন্যকারো স্বাধীনতার ঘোষণার বৈধ অধিকার ছিল না। ঘোষক বলে যারা স্বঘোষিত ঘোষক, অনেকেই ছিলে ঘোষণার পাঠক। পাঠক আর ঘোষক এক কথা না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, শাহজাহান খান সহ শতাধিক নেতৃবৃন্দ।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।