ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ভেজাল-মজুদদারির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
ভেজাল-মজুদদারির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার নির্দেশ

ঢাকা: ভেজাল, মজুদদারি, অতি মুনাফা লোভীদের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রমজানকে টার্গেট করে অধিক মুনাফা লাভের চেষ্টা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সারাদেশে তৃতীয় ধাপে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

সারাদেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এসব মসজিদ নির্মাণ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সামনে রমজান মাস, এ রমজান মাসে আমরা জানি আমাদের ব্যবসায়ীরা কিছু আছে জিনিসের দাম বাড়াতে চেষ্টা করে, এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।

তিনি বলেন, খাদ্যে ভেজাল দেওয়া, মজুদদারি বা কালোবাজারি, নিত্যপণ্যের সংকট সৃষ্টি এটা যেন কেউ করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে আমি আহ্বান জানাই।

মসজিদের ইমামদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মসজিদে যখন খুতবা দেন সে সময় এ যে কালোবাজারী বা মজুদদারি বা খাদ্যে ভেজাল দেওয়া, এটা যে গর্হিত কাজ আর অযথা মানুষকে কষ্ট দেওয়া এ ব্যাপারে আমার মনে হয় মানুষকে আরও বলা উচিত। খুতবায় এটা বলতে পারেন, মানুষকে সচেতন করতে পারেন। তাহলে হয়তো মানুষের মাঝে অতিরিক্ত মুনাফা নেওয়ার যে প্রবণতা সেটা বন্ধ হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, রজমান হচ্ছে কৃচ্ছ্রতা সাধনের মাস। মানুষ যাতে ভালোভাবে পবিত্র রমজান পালন করতে পারে বা তার ধর্মীয় কার্যক্রম করতে পারে সেদিকে সবার দৃষ্টি দেওয়া উচিত। সেই সময় এ মুনাফালোভীদের এ ধরনের জিনিসের দাম বাড়ানো আর মানুষকে বিপদে ফেলার কোনো অর্থ হয় না।

স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চাল, তেল, চিনি, ডাল সেগুলো ন্যায্যমূল্যে যাতে কিনতে পারে টিসিবির মাধ্যমে কার্ড দিয়ে আমরা এ সহযোগিতাটা করে যাবো।

বিত্তবানদের দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ সময়ে মানুষও অনেক সহযোগিতা করে থাকে। অনেক বিত্তশালীরাও মসজিদে টাকা দেন, দুস্থ মানুষকে টাকা দেন। আমরা তাদেরও বলবো রমজান মাসে সেটা করতে।

দেশকে এগিয়ে নিতে সবার দোয়া চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অগ্রযাত্রাটা যেন অব্যাহত থাকে। পবিত্র রজমানে আপনাদের কাছে দোয়া চাই। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কাজ যেন আমরা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সেজন্য দোয়া চাই।

নিজস্ব অর্থায়নে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার।

এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে ৫০টি ও চলতি বছরে ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনটি ধাপে এখন পর্যন্ত মোট ১৫০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেছেন শেখ হাসিনা। বাকি মসজিদগুলোর নির্মাণ কাজও শেষের দিকে।

সরকারি অর্থায়নে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। শুধু নামাজ আদায় নয়, এসব মসজিদ হবে গবেষণা ইসলামি সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র।

উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বরিশালের আগৈলঝাড়া, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার মডেল মসজিদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইমাম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ মুসল্লিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ও ধর্ম সচিব কাজী এনামুল হাসান।

গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
এমইউএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।