ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সাহরিতেও ভালো খাবারের নিশ্চয়তা নেই ঢাবির হলে!

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৩
সাহরিতেও ভালো খাবারের নিশ্চয়তা নেই ঢাবির হলে!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, (ঢাবি): প্রতিষ্ঠানটির ক্যান্টিনগুলোর খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। বর্তমান সময়ের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও খাবারের মান খারাপের এ সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা পালন করবেন মাহে রমজান।

এ বছর প্রতিষ্ঠানটির ক্যান্টিনগুলোয় খাবারের মূল্য চড়া। তারপরও ভালো খাবার পাওয়া নিয়ে সন্দিহান শিক্ষার্থীরা। অবশ্য প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের দাবি, শুধু রোজায় নায়, সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি উন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা।

ঢাবির ক্যান্টিন মালিকরা শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ মানের খাবার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই অন্য সময়ের চেয়ে এবার খাবারের তালিকায় বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করেছেন তারা। কিন্তু মাছ-মাংসসহ সবকিছুর দাম বাড়ায় চাইলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী তারা সেবা দিতে পারছেন না।

খালিদ আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। কারণ, যে খাবার আমরা ৪০ টাকা দিয়ে খেয়েছি সেটি এখন ৬৫ টাকা নিয়ে কিনতে হচ্ছে। কিন্তু, খাবার খেয়ে মনে হয় না বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী তৃপ্তি পায়। রোজা শুরু হয়েছে, এখন দামও বাড়বে। খাবারের দাম হবে ৮০-৯০ টাকা। মাও যে বাড়বে, তা কিন্তু না।

আরিফুল ইসলাম নামে অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, খাবারের মান নিয়ে শিক্ষার্থীরা সব সময় দাবি জানায়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কিংবা সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন সময় আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কোনো কিছুই পরিবর্তন হয় না। বাধ্য হয়ে আমাদেরও এসব মেনে নিতে হয়।

জানতে চাইলে কবি জসীম উদ্‌দীন হলের ক্যান্টিন মালিক রফিক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা গরু, খাসি, মুরগি ও মাছের আইটেম রেখেছি। হল প্রশাসন থেকে দাম পেলে সমন্বয় করে নির্ধারণ করা হবে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ক্যান্টিনে গরু-খাসির মাংস ৮০ টাকায়, মুরগি ৭০, মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ক্যান্টিন মালিক ডালিম  জানান, এ দামের ব্যাপারে তারা হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন।

কবি জসীম উদ্‌দীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের চারজন শিক্ষক নিয়মিত ক্যান্টিনের বিষয়টি দেখেন। বাজারে জিনিসপত্র দাম বাড়ায় সবকিছুতে প্রভাব পড়েছে। ক্যান্টিন মালিকরাও অলসতা করে। আমরা তারপরেও মনিটরিং করছি যেন শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা যায়। অন্যান্য হলের ক্যান্টিনের দামের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে খাবার দাম নির্ধারণ করা হবে বলেও তিনি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৩
এসকেবি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।