নীলফামারী: দীর্ঘ প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা। পুরোটাই খোয়া বেছানো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার মানুষজনকে বাধ্য হয়ে খোয়ার ওপর দিয়ে হাটতে হচ্ছে। সাইকেল, মোটরসাইকেল নিয়ে হেটে যেতে হচ্ছে। রিকশা ভ্যানকে ঠেলে পাড় করতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় শিক্ষার্থীসহ এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে চরম দূর্ভোগের মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।
জানা যায়, প্রায় ১৬ বছর আগে নির্মিত এই পাকা রাস্তাটি কখনোই সংস্কার করা হয়নি। যার কারণে রাস্তাটির বেহাল দশা। চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি সংস্কারের উদ্দেশ্যে রাস্তাটি খনন করা হয়। কিন্তু মাত্র দুইদিন কাজ করার পরেই রাস্তাটির সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কেনো কাজ বন্ধ? কবে নাগাদ রাস্তার কাজ শুরু হবে? এ বিষয়ে কিছু জানা নেই এলাকাবাসীর।
কথা হয় রিকশাচালক মমিনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, এই রাস্তা দিয়ে যাতায়েতে খুবই সমস্য হয় আমাদের। তবু পেট তো চালাতে হবে তাই প্রতিদিন রিকশা নিয়ে বাহির হতে হয়। রিকশারও অনেক সমস্যা দেখা যায়।
এলাকাবাসী সাদিকুল ইসলাম জানান, অনেক বছর রাস্তার কোনো কাজ হয়না। এবার যখন কাজ শুরু হলো তখন আমরা এলাকাবাসী অনেক খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ কাজ বন্ধ হওয়ায় আমাদের চলাফেরা করা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শিক্ষার্থী রিফাত মণ্ডল জানান, রাস্তার কাজ শুরু হলো। আবার শুরু হয়ে থেমে গেলো। এ কেমন অবিচার? কাজ যদি চলমান থাকতো তাহলে আমরা এ দূর্ভোগ মেনে নিতাম। কিন্তু কাজ চলবেনা, আবার দূর্ভোগ পোহাতে হবে। এটা মেনে নেওয়া যায়না। অনতিবিলম্বে আমাদের এই রাস্তাটি সংস্কার করা হোক।
এলজিইডি প্রকল্পের আওতায় বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মছে হাজী পাড়ার রাস্তাটির সংস্কারের কাজ শুরু হয়।
প্রকল্পের দায়িত্বরত একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের টালবাহানার কারণে রাস্তাটির সংস্কার কাজ আটকে আছে। এজন্য আমরা নিজেরাও বিব্রত। তবে খুবশীঘ্রই রাস্তার অসম্পূর্ণ কাজটি শুরু করা হবে। এজন্য আমরা তোরজোর শুরু করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৩
এসএম