ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সাঁথিয়ায় পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত শতাধিক, ভ্যাকসিন সংকট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৩
সাঁথিয়ায় পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত শতাধিক, ভ্যাকসিন সংকট

পাবনা: পাবনার সাঁথিয়ার কয়েকটি এলাকায় পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীসহ শতাধিক আহত হয়েছে। আহতরা হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন।

এদিকে হাসপাতালে ভ্যাকসিন সংকট দেখা দিয়েছে।

শনিবার (২৫ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত সাঁথিয়া পৌর সদরের পিপুলিয়া, নওয়ানী, ফকিরপাড়া, কালাইচাড়া, পূর্বভাবানীপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- বাছিরণ (৪০), হাদিয়া (১২), মারজিয়া (২৩), রাব্বি (৭), প্রতিবন্ধী সাথী (১৮), শফিক (৯), চম্পা (৪২), নিহারা (৪০),ফারহান (৩), সামিউল (৪), জ্যোতি (আড়াই বছর), চম্পা (৬৫), সোহান (৭), জান্নাতুল (৮), রাহেলা (৮০), জিহাদ (৮), প্রতিবন্ধী গোলাম আযম (৩৫)। বাকিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার সকালে পিপুলিয়া এলাকার একটি কুকুর এসে শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীসহ যাকে সামনে পাচ্ছে তাকেই কামড় দিচ্ছে। কুকুরকে ধরার চেষ্টা করেও কেউ ধরতে পারেনি। এইভাবে ওই কুকুর বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় শতাধিক মানুষ ও বেশকিছু গরু-ছাগলকে কামড়ে আহত করে।

এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের ভিড়ে চিকিৎসা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। অন্যদিকে ভ্যাকসিন সংকট দেখা দিয়েছে হাসপাতালে।  
 
রোগীদের একটা আইজি ভ্যাকসিন হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে। কিছু ভ্যাকসিন রোগীদের স্বজনেরা বাজার থেকে কিনে চিকিৎসা নিচ্ছে। হঠাৎ করে কুকুড়ের কামড়ে অনেক রোগী আহত হওয়ায় এবং ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। বর্তমানে বাজারেও ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য পাবনা জেলা সদর থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  

সাঁথিয়া হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লাহ মামুন বলেন, এ রকম ঘটনা সচারচর হয় না। হঠাৎ করে এমন ঘটনা ঘটায় আমাদের একটু বেগ পেতে হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের অনুদানের টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনে আমরা সবাইকে চিকিৎসা দিয়েছি।  

উপজেলা প্রাণিসম্পদ চিকিৎসক ফারুক হোসেন জানান, কুকুরে বেশ কয়েকটি গরু ও ছাগলকে কামড়ে আহত করেছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কুকুর কামড় দিলে দ্রুত ভ্যাকসিন না নিলে স্থায়ী সমস্যা হতে পারে বলেও জানান তিনি।

সাঁথিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই এলাকায় কুকুরের কামড়ে অনেকজন আহত হওয়ার খবর জানতে পেরেছি। এদের মধ্যে বেশ কিছু শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধী রয়েছে। এলাকায় পাগলা কুকুরের উপদ্রব যাতে কমে যায় এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন জানান, ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য উপজেলা পরিষদের রোগী কল্যাণ তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে রোগীদের সেবা দিতে। কেউ যেন সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।