সাভার (ঢাকা): ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বাঙালি পেয়েছিলো স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতার আজ ৫৩ বছর।
তবে গত কয়েকবারের তুলনায় এবার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের উপস্থিত কম দেখা গেছে।
রোববার (২৬ মার্চ) দিবসের প্রথম প্রহর সকাল ৫টা ৫৭ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানানো শেষে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার পর ৬টা ১০ মিনিটে সৌধ এলাকা ত্যাগ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এর পরেই স্মৃতিসৌধ এলাকা সর্বস্তরের মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
বেলা ১০টার দিকে দেখা গেছে, ফুলের ডালা নিয়ে জাতির বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে সাধারণ মানুষ সৌধ প্রাঙ্গণে আসছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ। তাদের ফুলেল শ্রদ্ধায় ভরে ওঠে শহীদ বেদী। তবে ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে শুরু করেছে স্মৃতিসৌধ এলাকা।
স্মৃতিসৌধে আসা চাকরিজীবী ওবাইদুল অভি বলেন, এবার রোজার কারণে স্মৃতিসৌধে লোকজন তুলনামূলক অনেক কম এসেছে। আমি পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে ভোরবেলায় এসেছি। আমার অফিসের অনেক সহকর্মী সেহরির পর পরেই ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছে। সকালে স্মৃতিসৌধে সবাইকে নিয়ে ফুল দিতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।
পোশাক শ্রমিক মিলন মিয়া বলেন, এবার অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ দেয়নি। গত বছরে স্মৃতিসৌধে এসে জায়গা পাওয়া যায়নি। কিন্তু এবার মানুষ কম। সব কারখানা বন্ধ হলে ও রমজানের সময় না হলে মানুষ বেশি থাকতো।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের গণপূর্ত বিভাগের ইনচার্জ উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, জনসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করার পর শ্রদ্ধার ফুল নিয়ে মানুষ সৌধ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছে। গত কয়েকবারের তুলনায় এবার লোকসমাগম কম রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৩
এসএফ/এসএ