ঝিনাইদহ: জেলায় দেখা দিয়েছে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা সংকট। সেই সঙ্গে বাচ্চা ও খাদ্যের উচ্চ মূল্যের কারণে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে খামার।
জানা যায়, মুরগির দাম ও চাহিদা বৃদ্ধি হলেও বাচ্চা সংকটে বন্ধ রয়েছে জেলার প্রায় ৬০ শতাংশ খামার। বাচ্চা না পাওয়ায় নতুন করে উৎপাদনে আসতে পারছেন না ঝিনাইদহের ক্ষুদ্র খামারিরা। স্থানীয় ডিলার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আগে সহজে বাচ্চা পাওয়া গেলেও, এখন দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক বাচ্চা পাওয়া গেলেও নিতে হচ্ছে দ্বিগুণ দাম দিয়ে।
ব্যবসায়ী ও খামারিদের অভিযোগ, বাচ্চা উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো সিন্ডিকেট করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে। এতে চাহিদা মতো সরবরাহ হচ্ছে না মুরগির বাচ্চা। এতে বন্ধ হচ্ছে খামারগুলো। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারিরা। উৎপাদন না হওয়ায় বাড়ছে মুরগির দামও।
খামারি মিজানুর রহমান তোতা বাংলানিউজকে জানান, বাচ্চা সংকটের কারণে একের পর এক খামার বন্ধ হচ্ছে। উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো সিন্ডিকেট করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে।
ব্যবসায়ী আকাশ বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, দুই মাস আগে কেজি প্রতি পোলট্রি মুরগির দাম ছিল ১৫০ টাকা। খাবারের দাম বেশি হওয়ায় ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে এখন ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ কৃত্রিম সংকট কেটে গেলে সাধারণ মানুষ আগের দামেই মুরগি কিনতে পারবেন বলে জানান এই ব্যবসায়ী।
এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তা মনোজিৎ কুমার সরকার বলেছেন, এ সমস্যা সমাধানে প্রাণিসম্পদ অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। অচিরেই বাচ্চার এ কৃত্রিম সংকট কেটে যাবে বলে মনে করছেন তারা।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, জেলার ছয় উপজেলায় ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী মুরগির খামার রয়েছে দুই হাজার ৭৭৪টি। যা থেকে একলাখ দুইহাজার মেট্রিক টন মাংস উৎপাদন হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৩
এসআইএ