ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাড়ে ১৪ মণ শাপলাপাতা মাছ বিক্রির জন্য মাইকিং, প্রাণীপ্রেমীদের বাধা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৩
সাড়ে ১৪ মণ শাপলাপাতা মাছ বিক্রির জন্য মাইকিং, প্রাণীপ্রেমীদের বাধা

বরিশাল: ব‌রিশাল নগরে সাড়ে ১৪ মণ ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ বিক্রির জন্য প্রচারের সময় বাধা দেওয়া নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এনিমেল ওয়েলফেয়ার অব বরিশালের সদস্যদের তর্কবিতর্ক হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত ১১টার দিকে নগরের ভাটিখানা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

বিতর্কের মুখে বুধবার (২৯ মার্চ) সকাল পর্যন্ত মাছটি বিক্রি করতে দেখা যায়নি।  

এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার অব বরিশালের সমন্বয়ক তুবা নাহার সাংবা‌দিকদের বলেন, ২০১২ সাল থেকে শাপলাপাতা মাছ শিকার, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। তবে নগরে শাপলাপাতা মাছ বিক্রি করার জন্য মাইকিং করছে। এ খবর শুনে তাদের পিছু নেন এনিমেল ওয়েলফেয়ার সদস্যরা। রাত ১১টার দিকে ভাটিখানা এলাকায় পৌঁছুলে তারা তাদের আটকে এ মাছ শিকার ও বি‌ক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা জানান। এ সময় পোর্ট রোড মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা আসে। মাছটি অবৈধ জানালেও তারা মানতে চায়নি। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে  মাছ ব্যবসায়ীদের তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে তাদের ও মাছ ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দিয়েছে।

তুবা নাহার বলেন, তাদের বাধা দেওয়ার কারণে মাছটি সকালে কাটার কথা থাকলেও রাতেই কেটে ফেলেছে। তারা এ মাছ শিকার বন্ধে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু প্রভাবশালীদের কারণে সফল হননি।

পোর্ট রোডের মাছ ব্যবসায়ী পরশ ঘরামী বলেন, মঙ্গলবার নদীর পানি বেড়ে গিয়েছিলো। মাছটি চরে একটি তরমুজ ক্ষেতে আটকা পড়ে। তরমুজ চাষী জসিম বেপারীর কাছ থেকে ভোলার মাছ ব্যবসায়ীরা কিনে মঙ্গলবার পোর্ট রোডে নিয়ে আসে। তাদের কাছ থেকে ১০ জন বিক্রেতা এক লাখ ২০ হাজার টাকায় মাছটি কেনেন।

পরে বুধবার সকাল আটটায় পাঁচশ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে মাছটি ভ্যান গাড়িতে নিয়ে সঙ্গে রিক্সায় মাইক নিয়ে নগর ঘুরে প্রচারণা চালান। এ সময় কিছু লোক এসে ঝামেলা করছিলো। পুলিশ এসে মিটিয়ে দিয়েছে।

পরশ আরও বলেন, তারা বলছে এ মাছ বিক্রি নিষিদ্ধ। তাইলে নগরে প্রায় সময় বিক্রি হয় কেমনে?

তিনি বলেন, রাত ১২ টার দিকে মাছটি পোর্টরোডে নিয়ে আসা হয়। এরপর মাছটিকে চার টুকরা করে বরফ দিয়ে বুধবার সকালে বিক্রির জন্য রাখা হয়।

এ বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, একটি শাপলা পাতা মাছ বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। এনিমেল লাভার নামের একটি গ্রুপ খবর পেয়ে মাছটি আটকে এই মাছ শিকার অবৈধ দাবি করে।

তারপর পোর্ট রোড থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা গেলে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল হয়। পরে দুই পক্ষকে বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৩
এমএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।