ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২ ফেরি বিকল, ঘাটেই নষ্ট হচ্ছে অর্ধকোটি টাকার তরমুজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৩
২ ফেরি বিকল, ঘাটেই নষ্ট হচ্ছে অর্ধকোটি টাকার তরমুজ

ভোলা: দুই ফেরি বিকল থাকায় ভোলা-লক্ষীপুর রুটের উভয় পাড়ে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ লাইনজটের। বিশেষ করে ভোলা অংশের ইলিশা ফেরিঘাটের দিকের জটে অনেক যানবাহন জমে গেছে।

ফেরি স্বল্পতায় গন্তব্যে যেতে পারছে না মালবাহী পরিবহনগুলো। এছাড়া তরমুজবাহী গাড়িগুলো পার হতে না পারায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তরমুজ ব্যাপারিরা। ঘাটেই নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে ব্যবসায়ীদের প্রায় অর্ধকোটি টাকার তরমুজ।

এমন পরিস্থিতিতে তরমুজবাহী গাড়িগুলো আগে পারাপারে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ফেরি কর্তৃপক্ষ। তবুও জট লেগেই আছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, দুই দিনেও পার হতে পারেননি চরফ্যাশনের তরমুজ ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বেপারি। চার লাখ টাকার তরমুজ ট্রাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। কখন পার হতে পারবেন তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই লোকসানের আশঙ্কায় তার চোঁখ-মুখে পড়েছে দুঃশ্চিন্তার ছাপ। নির্ধারিত সময়ে যেতে না পারলে ঘাটেই তার সব তরমুজ নষ্ট হয়ে যাবে।

শুধু সালাউদ্দিন নয়, তার মতো এমন অবস্থা অন্যদেরও। অনেকেই তরমুজসহ বিভিন্ন কাঁচামাল নিয়ে ঘাটে অপেক্ষা করছেন পার হওয়ার জন্য।

তিন দিন ধরে ভোলা-লক্ষীপুর রুটের ছয় ফেরির মধ্যে দুইটি বিকল হয়ে গেছে। তাই প্রয়োজনীয় যানবাহন পার করাতে পারছে না ফেরি কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ভোলার যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হচ্ছে ভোলা-লক্ষীপুর রুট। এ কারণে ব্যবসায়ীদের এই রুটটি ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু তিন দিন ধরে উভয় পাড়ে অসংখ্য গাড়ির জট বেধেছে। আর তার মধ্যে ৭০ ভাগই তরমুজের গাড়ি। তাই পারপার হতে না পারায় পচন ধরার আশঙ্কায় তরমুজসহ অন্যান্য কাঁচামাল। আর চালক-শ্রমিকদের যেন দুর্ভোগের শেষ নেই।

তরমুজ বেপারি মো. রায়হান বলেন, ঘাটে দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়েছে। গন্তব্যে কখন পৌঁছাতে পারবো তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

চালক নুরু উদ্দিন ও আলামিন বলেন, ফেরির ট্রিপ বাড়ালে জট কমতো। কিন্তু ফেরি বিকল থাকায় কাঁচামাল নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে বসে থাকতে হচ্ছে।

তবে লাইন জট কমাতে তরমুজের গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিটিসির ব্যবস্থাপক মো. পারভেজ খান। তিনি বলেন, বিকল ২ ফেরির একটি সচল হয়েছে। বাকি ফেরিও দ্রুত মেরামত করা হচ্ছে। দ্রুত জট কমাতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, এ বছর জেলায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। প্রতি বছরই স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বড় একটা অংশ রপ্তানি হয় বাইরের জেলাগুলোতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।