বরিশাল: বরিশালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ৬ যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাত ৯টার দিকে বরিশাল নগরের জীবনানন্দ দাশ সড়কের মল্লিকা কিন্ডারগার্টেনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
একটি পক্ষ দাবি করছে, ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটেছে। অপর একটি পক্ষ বলছে, হামলাকারীরা ছাত্রদলের নেতাকর্মী।
এ ঘটনায় আহতদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রলীগকর্মী সিয়াম সাংবাদিকদের জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সরকারি বরিশাল কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম টিপুর সঙ্গে ছাত্রলীগকর্মী সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এইচ এম রিশাদ মাহামুদের দ্বন্দ্ব ছিলো দীর্ঘদিনের। এরই জেরে টিপু তার দলবল নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিশাদসহ ৬ জনের ওপর হামলা চালায়।
এতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রিশাদসহ ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগকর্মী আব্দুল্লাহ আল মারুফ, ইমন, সোহান, এভ্রিল এবং খালিদ গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সাহাদাৎ হোসেন বলেন, আহতদের মধ্যে রিশাদ মাহামুদকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সরকারি বরিশাল কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম টিপু বলেন, কিশোর গ্যাং আব্বা গ্রুপের সদস্য রিশাদ। তার গ্রুপের সঙ্গে ছাত্রলীগেরই অপর একটি গ্রুপ সাদের দলবলের সঙ্গে কোপাকুপি হয়েছে বলে শুনেছি। রিশাদের সঙ্গে যাদের সংঘর্ষ হয়েছে, তারা প্রভাবশালী হওয়ায় রিশাদের অনুসারীরা এই ঘটনায় শুধু শুধু আমার নাম জড়াচ্ছে। আমি এ ঘটনায় সম্পৃক্ত নই।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী মল্লিক রোডের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বরিশাল মহানগর ও জেলা ছাত্রলীগের দুই নেতার দুটি গ্রুপ সাদ ও এইচ এম রিশাদ গ্রুপের সঙ্গে মারামারি হয় মল্লিকা কিন্ডারগার্টেনের পাশের রাস্তার মুখে। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপ ধারালো অস্ত্র নিয়ে একে অপরকে আঘাত করলে সাদ ও রিশাদসহ উভয় গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হয়। রিশাদ গ্রুপের সদস্যরা সাদের পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিলে সে গুরুতর আহত হয় এবং স্থানীয়রা তাকে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এছাড়া রিশাদ ও তার অনুসারীদের কয়েকজন আহত হলে তাদেরও হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধারালো অস্ত্রসহ একজনকে আটক করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমানউল্লাহ বারী বলেন, স্থানীয় দ্বন্দ্ব নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। আমরা নাজিম মাহমুদ রাফি নামের একজনকে ধারালো দেশীয় অস্ত্রসহ (দা) আটক করেছি। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা বা অভিযোগ দায়ের হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৩
এমএস