ফরিদপুর: ফরিদপুরে বিনা টিকিটে রেলে ওঠা যাত্রীদের থেকে টাকা আদায়ের পর দেওয়া হচ্ছে না কোনো রশিদ। ফলে ওই টাকা টিটিই'র (ট্রেন টিকিটি এক্সামিনার) পকেটে যাচ্ছে।
রাজবাড়ী-ফরিদপুর রুটে রাজবাড়ী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের থেকে এভাবে টাকা আদায় করতে দেখে অভিযোগ করেন নগরকান্দার চাঁদহাট বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে তালমার নাজিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের ট্রেনে উঠি। তালমা স্টেশন থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। ট্রেন ছাড়ার পর চেক করার সময় টিটিই দেখেন অনেক যাত্রীরই টিকিট নেই। টিটিই তাদের কাছ থেকে ভাড়ার টাকা আদায় করেন। কিন্তু তাদের কোন টিকিট বা রশিদ দেননি তিনি!
এ শিক্ষক প্রশ্ন রাখেন, এই টাকা কি আদৌ জমা হবে সরকারি কোষাগারে? কীভাবে দেবে! রশিদই তো কাটা হয়নি টাকার বিপরীতে! অথচ টাকা দেওয়া যাত্রীরাও কিছু বললেন না।
এ ব্যাপারে তালমা রেল স্টেশনের টিকেট মাস্টার বলেন, টিটিইর কাছে বিপিডি বই থাকে। ওই বইতে তিনি ৯০ টাকার নিচে টিকিট লিখতে পারেন না। তবে অনেক সময় ভাড়ার টাকা কম হলে চার-পাঁচজনের টাকা এক টিকিটে লিখতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, টিকেট নিয়ে যারা উঠেছেন তাদের দায়িত্ব আমার, আর টিকিট ছাড়া যারা উঠেছেন তাদের দায়িত্ব টিটিইর। তাদের দ্বায়ভার আমার না।
জানা গেছে, বিনা টিকিটে ট্রেনে চড়লে জরিমানাসহ ভাড়া বেশি দেওয়া নিয়ম। তাই বিনা টিকিটের যাত্রীরা টিটিইর কাছে ধরা পড়ে গেলে শুধু ভাড়ার টাকা দিয়েই পাড় পেতে চায়। তারা জরিমানা দিতে চায় না। এজন্য রশিদও নেয় না তারা। আর যাত্রীদের এই অপরাধপ্রবণতার সুযোগ নেন অসাধু টিটিইরা। তারা বিনা টিকিটের যাত্রীদের এই টাকা রেলে জমা না দিয়ে নিজের পকেট ভারী করেন।
ফরিদপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার তাকদির হোসেন বলেন, টিটিই যদি যাত্রীদের থেকে ভাড়া আদায় করেন তাহলে অবশ্যই রশিদ বা ডকুমেন্ট দেবেন। আর যদি তা না দেন তাহলে যাত্রীদের থেকে অভিযোগ পেলে টিটিইর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৩
এসএএইচ