টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের সখীপুরে দেবরের লাঠির আঘাতে ভাবির মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলার আসামি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. রুহুল আমিনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
শনিবার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের সূরীরচালা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রুহুল আমিন উপজেলার কাঁকড়াজান ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য এবং কাঁকড়াজান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
তবে, মামলার প্রধান আসামি আবদুস সালাম মিয়াসহ ৬ জন এখনো পলাতক।
জানা যায়, শুক্রবার (৩১ মার্চ) উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের সূরীরচালা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেবর আবদুস সালাম মিয়ার সঙ্গে ভাবি জরিনা আক্তারের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আবদুস সালাম তার হাতে থাকা কাঠের সাড়ক (লাঠি) দিয়ে ভাবি জরিনার মাথায় আঘাত করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় জরিনাকে প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে চিকিৎসাধীন জরিনার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত জরিনার বেগমের মেয়ে স্বপ্না আক্তার বাদী হয়ে চাচা আবদুস সালাম মিয়াকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের নামে সখীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তার ইউপি সদস্য মো. রুহুল আমিনকে ঝগড়ার ইন্ধনদাতা হিসেবে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী স্বপ্না আক্তার বলেন, আমার মাকে ওরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আর রুহুল আমিন মেম্বার ছিলেন খুনের ইন্ধনদাতা। আমি আমার মা হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, ইউপি সদস্য মো. রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে রোববার (২ এপ্রিল) সকালে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৩
এনএস