ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কালীগঞ্জে পণ্য না পেয়ে টিসিবির ডিলারকে আটকে রাখলো জনতা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২৩
কালীগঞ্জে পণ্য না পেয়ে টিসিবির ডিলারকে আটকে রাখলো জনতা

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় পণ্য না দেওয়ায় টিসিবির ডিলারকে অবরুদ্ধ করে রাখে কার্ডধারী সুফলভোগীরা।

রোববার (২ এপ্রিল) রাতে উপজেলা সদরের তুষভাণ্ডার বাজারে পণ্য বিক্রিকালে কার্ডধারী সুফলভোগীদের হাতে অবরুদ্ধ হন ডিলার সফিয়ার রহমান।

ভুক্তভোগীরা জানান, উপজেলার তুষভাণ্ডার ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের ৯০২ জন কার্ডধারী সুফলভোগীর মধ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির জন্য মাইকিং করা হয়। সকাল ৯টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত তুষভাণ্ডার ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে সুফলভোগীদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়। ঘোষণা অনুযায়ী সুফলভোগীরা দিনভর অপেক্ষা করেও কাঙ্ক্ষিত ডিলারের দেখা মেলেনি। অবশেষে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অবগত করলে টনক নড়ে ডিলারের। বিকেল সাড়ে ৩টায় পণ্যের ট্রাক নিয়ে মাঠে হাজির হন ডিলার সফিয়ার রহমান।
দিনভর জড়ো হওয়া মানুষজন ভিড় করলে অনেককেই কার্ডে ঝামেলার অজুহাত দেখিয়ে পণ্য ছাড়াই বিদায় করেন ডিলার। সন্ধ্যায় ভিড়ের চাপ বেড়ে গেলে পণ্য শেষ অজুহাতে ডিলার চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে বঞ্চিতরা বিক্ষোভ করে ডিলারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় বঞ্চিতদের পরবর্তীতে পণ্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে মুক্তিপান ডিলার সফিয়ার রহমান।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় সময় ডিলাররা সময় শেষ করে বিতরণ স্থানে উপস্থিত হয়ে ভিড় দেখে অধিকাংশ মানুষকে কার্ডে ঝামেলা আছে বলে  পণ্য দেন না। প্রতিবাদ করলে গালমন্দসহ কার্ড বাতিলের হুমকি দেওয়া হয়। সরকারি নিয়মানুযায়ী প্রতিটি পয়েন্টে একজন সরকারি তদারকি কর্মকর্তা থাকার নিয়ম থাকলেও লালমনিরহাটের কোথাও তারা থাকেন না। তদারকি কর্মকর্তারা টাকা নিয়ে ডিলারদের বিতরণ সিটে স্বাক্ষর করেন বলে অভিযোগ তাদের।

ফলে অধিকাংশ মানুষ কার্ড থেকেও পণ্য না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফেরেন। আর এসব পণ্য ডিলাররা কালোবাজারে বিক্রি করেন বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবগত করেও কোনো কাজে আসছে না বলেও দাবি করেন বঞ্চিত কার্ডধারীরা।

ডিলার সফিয়ার রহমান বলেন, আমি পণ্য পেয়েছি দুপুর ২টার দিকে। এরপর এসব পণ্য পরিমাপ করে প্যাকেট করতে বেশ সময় চলে যায়। তাই বিক্রয় পয়েন্টে আসতে দেরি হয়। এ কারণে সন্ধ্যা হয়ে গেছে মাল বিতরণ করতে। পণ্য সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, টিসিবি পণ্য বিতরণের যে কার্ডটি করা হয়েছে সেটি স্ক্যান করেছেন তাই অনেকজনকে মাল দিতে পারিনি।

কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টিম গোলাম রসূল বলেন, বিষয়টি শোনার পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে ট্রাকটি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম জানান, বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। তবুও খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।